ডাকসুতে রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রচারণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

0

ডাকসু নির্বাচনে রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রচারণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সার্বভৌমত্ব সচেতন ছাত্রসমাজ। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪’টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে থোয়াই চিং মং চাক বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্নের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশী এনজিও ও ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে ঢাবিতে ‘আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচারণা ও কায়েম করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ‘আদিবাসী’ প্রচারণার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ কিংবা ভারতের সাথে যুক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র বিদ্যমান।

যেসব ক্যান্ডিডেট ঢাবিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী আদিবাসী প্রচারণা চালাচ্ছে তাদেরকে ডাকসু নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত করে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী শব্দ প্রচারণার অভিযোগে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা করতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। কিন্তু এই ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরবতা আমাদেরকে হতাশ করেছে। আদিবাসী প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের অখণ্ডতা নিয়ে যে ঝুঁকি তৈরী হবে এর জন্য ঢাবি প্রশাসনও দায়ী থাকবে।

বাংলাদেশের প্রায় ৯৯. শতাংশের বেশি মানুষ বাঙালি জনগোষ্ঠী। এর বাইরে আনুমানিক ০.৫০ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর। এখানে কেউ চাক, কেউ মারমা, কেউ চাকমা ইত্যাদি। এগুলো আমাদের জাতিগত পরিচয়। সামষ্টিকভাবে বাঙালি-অবাঙালি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আমরা সবাই বাংলাদেশী। কিন্তু নিজ জাতি ও বাংলাদেশী পরিচয় বাদ দিয়ে বিদেশী এনজিও ও ভারতীয় চাহিদায় বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘আদিবাসী’ প্রচারণা রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড। এদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

গত আওয়ামী স্বৈরাচার আমলে ঢাবির ছাত্রলীগ ও বামপন্থী ছাত্রদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতো যে, ঢাবি ক্যাম্পাসে কে বেশি ভারতীয় হেজিমনি (আধিপত্য) তৈরী করতে পারে। এটা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি পযন্ত হয়েছে। ভারতীয় হেজিমনির পোদবালক ঢাবির জগন্নাথ হলের মেঘমল্লার বসু। স্বৈরাচার পতনের পরেও তারা ঢাবিতে ভারতীয় হেজিমনি ‘আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদ’ পুনরায় নিয়ে আসার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে- দশম বর্ষী আদু ভাই ওরফে ভারতীয় রুপি মেঘমল্লার ও তার রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্যকে সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ন্যস্ত করা।

ডাকসু নির্বাচনে পাহাড়ের সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউপিডিএফ এর ফান্ডিং ও কানেকশনের ছড়াছড়িও দেখা যাচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনই উক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত। এই ব্যাপারগুলোতে ঢাবি প্রশাসনের যাচাইহীনতা ও নিষ্কৃীয়তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র কিংবা শিক্ষক যারাই রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রচারণা চালাবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।

আগের পোস্টসন্ত্রাসীদের নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িবহর ঘেরাওয়ের চেষ্টা, ফাঁকা গুলিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ।
পরের পোস্টবান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে বিজ্ঞান মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠিত।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন