খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সাম্প্রতিক সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মারমা সম্প্রদায়ের দুটি সংগঠন, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ ও মারমা উন্নয়ন সংসদ। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটি শান্তিপ্রিয় মারমা জনগোষ্ঠীকে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় এক মারমা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তারা গভীরভাবে মর্মাহত। তবে এ ঘটনার প্রতিবাদে “জুম্ম ছাত্র-জনতা” ব্যানারে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর যে সংঘাত ও সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠন দুটি।
তারা অভিযোগ করে, “জুম্ম ছাত্র-জনতা” নামের ব্যানার ব্যবহার করে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল পাহাড়ি জনগণকে উসকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই ষড়যন্ত্রে পা না দিতে পাহাড়ি-বাঙালি সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটির আহ্বান:
১. সরকার ও প্রশাসন যেন দ্রুত ধর্ষণ ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনে এবং পাহাড়ি-বাঙালি প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসনের উদ্যোগ নেয়।
২. অবরোধ আহ্বানকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, দুর্গোৎসবের সময় বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে অবরোধ প্রত্যাহার করতে।
৩. পাহাড়ি-বাঙালি নাগরিকদের প্রতি শান্ত ও সহনশীল থেকে কোনো উসকানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই পাহাড় আমাদের সবার। বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের সৌন্দর্য। আসুন, সবাই মিলে শান্তির স্থাপনে সহায়তা করি।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, মংখই মারমা, সভাপতি, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কমিটি ও নিয়ং মারমা, সাধারণ সম্পাদক, মারমা উন্নয়ন সংসদ, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কমিটি।