মিলিটারাইজেশন ইন দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস, প্রতিবেদনটি মিথ্যাচার- সোহেল রিগ্যান

0

 

মিলিটারাইজেশন ইন দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস, প্রতিবেদনটি মিথ্যাচার।

মিলিটারাইজেশন ইন দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস, বাংলাদেশ–দ্য স্লো ডিমাইজ অফ দ্য রিজিয়ন্স ইনডিজেনাস পিপল’ প্রতিবেদনটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদীত ভাবে ডেনমার্ক ও নরওয়ের ‘নোরাড-এর’ অর্থায়নে মানবাধিকার সংস্থা গুলো তৈরি করে।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা অধিদপ্তর ‘নোরাড’-এর অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করা হয়৷ কথিত নোরাড-এর অর্থায়নে পরিকল্পিত রিপোর্ট-এর বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করছি। তার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বাঙালি ও সেনা বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড তুলে ধরছি-
মানবসভ্যতা বিকাশে ও দেশের পার্বত্য ভূখণ্ডের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি উপজাতি জনগোষ্ঠীর উগ্রবাদী বিচ্ছিন্নতাবাদী অংশ। এরা বাঙ্গালী, সেনাবাহিনী তথা মুসলিম তীব্র বিদ্বেষী। পার্বত্যাঞ্চলে তারা বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিকে আগ্রাসন হিসেবে দেখে। প্রতিনিয়ত মুসলমানদের ধর্মীও অনুভূতিতে আঘাত হেনে চলছে। এদের ব্যঙ্গাত্মক ও কটাক্ষ মন্তব্য থেকে সরকার, প্রশাসন কেউ বাদ যাচ্ছে না। হিংস্র মনোভাব নিয়ে সন্ত্রাসীরা সাধারণ উপজাতিদের শেখাচ্ছেন বাঙ্গালীরা তাদের চিরশত্রু! নারী ধর্ষণ ও উচ্ছেদ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উপজাতিদের বিতাড়িত করবে। এমন ঘৃণা ও মিথ্যাচার করে নতুন প্রজন্মের উপজাতি ছেলে-মেয়েদের বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনী সম্পর্কে চরম বিদ্বেষী মূলক হিংস্রাতক ধারণা গেলাচ্ছেন।

সন্ত্রাসীদের সাম্প্রদায়িক উগ্র আচরণ ও হিংস্র মনোভাবের চিন্তা চেতনা থেকে একটি বিষয়ে বারবার মনে গুরুপাক খাচ্ছে। বিষয়টি হলো-
বাঙ্গালীরা যদি এতটাই খারাপ হতেন তাহলে কী উপজাতিরা বার্মার চম্পকনগর, ভারতের ত্রিপুরা ও মঙ্গোলীয় থেকে বাংলার ভূখণ্ড পার্বত্য এলাকায় এসে কী অবৈধ বসবাস স্থাপন করে শান্তিতে থাকতেন যুগের পর যুগ ধরেই? এই সহজ বিষয়টির প্রশ্নের উত্তর অধিকাংশ উপজাতিসহ এদেশীয় সুশীলরা এড়িয়ে যান। বাঙ্গালীদের মত পরোপকারী সহানুভূতিশীল জাতিই উপজাতীয়দের এদেশে থাকতে দিয়েছে। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে উপজাতিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের মত উচ্চ বিলাসী জীবনযাপন করেনা। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তিতে সরকার ও তথাকথিত শান্তিবাহিনীর মধ্যে যেসকল শর্তাদি ছিল তার মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিলো অবৈধ অস্ত্র সরকারের নিকট আত্মসমপর্ণ করা এবং সন্ত্রাসবাদ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা।
এরজন্য সরকার তাদের সকল প্রকার দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে চুক্তি ধারা বাস্তবায়িত করবেন।
সেই কথা অনুযায়ী ও চুক্তির শর্ত ধারা অনুসারে সরকার তাদের দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন করছেন। পার্বত্য চুক্তির ৮৫% ধারায়ই সরকার বাস্তবায়ন হয়েছে। অন্যদিকে তথাকথিত শান্তিবাহিনী অবৈধ অস্ত্র সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিকট জমা দেননি। খোদ সন্তু লারমা নিজেই ২০১১ সালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর নারী সাংবাদিক শামীমা বিন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে জানান, “তাদের এখনো কয়েকশো সশস্ত্র জনবল রয়েছে। তারা সম্পূর্ণ অস্ত্র জমা দেয়নি!” সন্তু লারমার স্বীকারোক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রধারীদের সন্ত্রাসবাদ কায়েম করার বিষয়ে আলোকপাত করলে এটাই অনুমেয় যে, ১৯৯৭-২ রা ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি নিয়ে সরকারের সাথে সন্তু লারমা ভাঁওতাবাজি করেছে। পার্বত্য চুক্তির ধারা বাস্তবায়নে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৩৯ টি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়। এর মধ্যে কাপ্তাই ৬৫ বিগ্রেডও রয়েছে। চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে, ১২ টি ধারা বাস্তবায়নের পথে বাকী ১২টি ধারা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। তথ্য সূত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে পার্বত্যাাঞ্চলে ৪টি সেনা বিগ্রেড কাজ করার কথা উল্লেখ রয়েছে চুক্তির শর্তে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে অপারেশন দাবানোল বন্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী অপারেশন উত্তরণ করেন। পূর্বের ন্যায়ে সন্ত্রাসীরা এখনো সাধারণ উপজাতি বাঙ্গালীদের উপর হামলা চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছে। সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বন্ধ করাসহ উক্ত জনপদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সেনাবাহিনী যৌথবাহিনী সমন্বয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে জানমাল নিরাপত্তাসহ লাভবান হচ্ছে স্থানীয় উপজাতীয় জনগোষ্ঠী। তবুও পার্বত্য উপজাতিরা অপপ্রচার করে বাঙ্গালী-সেনাবাহিনীরা তাদের উচ্ছেদ নিমিত্তে ভূমি দখল ও ধর্ষণ, নির্যাতন, হামলা সহিংসতা ও সামরিক শাসন ব্যবস্থা জারিরেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল করছে ! সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয়টি হলো এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা উপজাতিদের মাথায় তুলেছে এবং দালাল মিডিয়া, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সুশীল মহল ও বাম মুক্তমনারা সন্ত্রাসীদের হয়ে কাজ করছে! উপজাতীয়দের মধ্যে ৯০% হচ্ছে অকৃতজ্ঞ। যারা বাংলাদেশে খেয়ে বাংলাদেশের বিরোধিতা করে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে। ত্রিপুরা অরুনাচল চাকমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে পার্বত্য চট্রগ্রাম-কে ভারতের সাথে যুক্ত করার দাবি তোলে! তাদের স্পর্ধা এতেটা বেড়েছে যে, সর্বপ্রথম স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা দাবি আদায়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসবাদ করলেও পরবর্তীতে অথাৎ বর্তমানে বাংলার এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুরের মত আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠন করার নীলনকশা করে আসছে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সাঙ্গুপাঙ্গদের বাঙালি বিদ্বেষী লেখা দেখলে কল্পনা করাও কঠিন যে তারা এমন জঘন্য হবে। কতটা হিংস্র, ভয়ংকর ও অমানুষ তাদের কর্মকাণ্ডে প্রতিয়মান হয়। তাদের মনমানসিকতা ও ভাষা-ব্যবহার এতটাই জঘন্য যে, বাঙ্গালী মুসলমানদের ধর্ম আল্লাহর রাসূল নিয়ে গালিগালাজ করছে এবং মারাত্মকভাবে হুমকি-দামকি দিয়ে অপদস্ত করছে। কেউ যখন তাদের মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে তখন তাকে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এমন ঘটনাও পার্বত্যে অহরহ। এরা এমন এক জাতি সারাদিন বিপদে-আপদে সেনাবাহিনী থেকে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আর দিনশেষেই সেনাবাহিনী নিয়ে জঘন্যতম মিথ্যাচার রচিত করে৷ পাহাড়ে উপজাতিদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সেনাদের আত্মত্যাগ অপরিসীম। উপজাতি সন্ত্রাসীদের মধ্যে যে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বছরের পর বছর সংঘাত লেগে থাকে তা থেকে তাদের রক্ষা করে তাদের কথিত শত্রু সেনাবাহিনী। এই সেনাদের উপস্থিতি পাহাড়ে না থাকলে এতদিনে উপজাতীয়রা স্বজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে ধ্বংস হত। পাহাড়ের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রসারে সেনাবাহিনীর অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। উপজাতি সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্র ভাগ করার ষড়যন্ত্র ও বাঙ্গালী-সেনা বিরোধী তৎপরতাসহ অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজির পথে অন্যতম বড়বাধা হয়ে দাড়িয়ে আছে সেনাবাহিনী। এর জের ধরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ ও তাদের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয় ‘অপপ্রচার’ কে। সেনাবাহিনীর পার্বত্য কার্যক্রম বন্ধ করতে সেনাবাহিনীকে ধর্ষক, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হিসেবে সম্বোধন করার পাশাপাশি উপজাতি ভূমি দখলে সহযোগীতাকারী হিসেবে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। পর্যাটন শিল্প স্থাপনের নামে পরিবেশ ধ্বংসের মিথ্যা অপবাদও যুক্ত হয়েছে। পাহাড়ে মিলিটারাইজেশন চলছে এমন অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা গোষ্ঠী। তাদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষকতা করেন ডেনমার্ক ও নরওয়ে। অধিকার আদায় নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশী দাতা সংস্থা এবং মিশনারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার কার্যক্রম ও সাধারণ উপজাতিদের মধ্যে বাঙ্গালী বিদ্বেষী মনোভাব সৃষ্টি করে দিচ্ছে। অর্থ ও শিক্ষা সহযোগিতার নামে অসহায় উপজাতিদের খৃষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে! জাতি নিধনের মত জঘন্য কাজে জড়িত থাকার শত প্রমাণচিত্র থাকার স্বত্বেও এসব নিয়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি সন্ত্রাসীরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না! বাস্তবতার নিরিখে বলতে গেলে উপজাতীয়রা শুধু মাত্র বাঙ্গালী মুসলিম ও সেনাবাহিনী বিরোধী। অন্য সব ধর্মের জাতি নিয়ে তাদের কোন বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই। বিদেশী দাতাসংস্থার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে জাত প্রেম ভুলে অচেতন সন্ত্রাসীরা। স্বার্থের জন্য বৌদ্ধ ধর্ম পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বিলুপ্ত হলেও সন্ত্রাসীদের বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই।

পাহাড়ের আনাছে- কানাচে খৃষ্টান মিশনারীদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গড়ে উঠেছে খ্রিস্টানদের ধর্মীও প্রতিষ্ঠান ও আশ্রম। এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আশ্রমে সহজসরল গরীব উপজাতিদের শিক্ষালাভের নামে কৌশলে ধর্মান্তরিত করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের বৌদ্ধ ধর্ম ছেড়ে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রবণতা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে তার সামগ্রিক চিত্রটা উক্ত লেখায় বিশদ আলোচনা করেও শেষ করা যাবে না। এর সঠিক তথ্য প্রমাণচিত্র পেতে সম্প্রীতির বান্দরবান শহরে বা শহরের অদূরে চাক, ম্রো, খুমীদের সাথে কথা বললে জানা যাবে। উপজাতিদের বৌদ্ধ ধর্ম থেকে খৃষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে সবচেয়ে বড় বাধা কথিত সেটেলার বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনী। বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি জনগোষ্ঠীের মানুষদের খৃষ্টান বানাতে মিশনারীদের প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হয়। খৃষ্টান মিশনারী ও দাতাসংস্থা গুলোর মূল উদ্দেশ্য উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি এনে দেওয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ইন্দোনেশিয়া পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদার-এর মতো অবিকল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে পশ্চিমাদের অসৎ উদ্দেশ্য বহুকাল থেকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ক গ্রুপ ফর ইনডিজেনাস অ্যাফেয়ার্স’, ‘শিমিন গাইকো সেন্টার’ এবং ‘অর্গানাইজিং কমিটি সিএইচটি ক্যাম্পেন’ নামে সংস্থা কাজ করছে অনেকবছর ধরে। তাদের প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় ২০০৪ সাল হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৮ বছরের প্রতিবেদন রিপোর্ট। এরপর দ্বিতীয় রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে। পূর্বের রিপোর্টটি হাতে আসলেও নতুন রিপোর্টটি হাতে আসেনি। জানা যায়, এই সংস্থাগুলো প্রবল সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালী বিদ্বেষী। বাংলাদেশ সংবিধানে স্বীকৃত নৃ-গোষ্ঠী বা উপজাতি হিসেবে। এই নৃ-গোষ্ঠী- উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে প্রচার-প্রসার ও স্বীকৃতি দিতে প্রথম দাবি তোলে। এবং সংবিধান বিরোধী তথাকথিত আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র মেতেছে। কথিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করার সুযোগ নিয়ে তাঁরা শিক্ষা উন্নয়ন, আর্থিক অনুদান, অধিকার আদায়সহ নানান কূটকৌশল অবলম্বন করে সাধারণ মানুষদের মগজধোলাই করে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারণা করে আসছে। এসব কিছুর আড়ালে তাঁরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাৎসরিক মিথ্যা ও বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদন তৈরি করছে৷ 

তা প্রদান করে আসছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে। জার্মানভিত্তিক ডয়েচে ভেলের (DW) ইংরেজি ও বাংলা ভার্সনে একটি নিউজ এর আগে প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ও বাঙ্গালীর উপস্থিতি নিয়ে জার্মানি ডয়চে ভেলের উপজাতি সন্ত্রাসীদের এজেন্ট প্রবাসী ব্লগার পাইচিমং মারমাকে দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদীত জঘন্যতম মিথ্যাচার প্রকাশও তারা করেছিল। সেনাবাহিনী বিরুদ্ধে ১৩টি বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে রিপোর্ট প্রকাশ করে বিশ্বের দরবারে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক শাসনজারি থাকার মিথ্যা তথ্য ও সেনাবাহিনী কর্তৃক তথাকথিত আদিবাসীদের ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক করার মত বানোয়াট রিপোর্ট তুলে ধরছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ক গ্রুপ ফর ইনডিজেনাস অ্যাফেয়ার্স’, ‘শিমিন গাইকো সেন্টার’ এবং ‘অর্গানাইজিং কমিটি সিএইচটি ক্যাম্পেন’-এর যৌথ রিপোর্ট ‘মিলিটারাইজেশন ইন দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস, বাংলাদেশ – দ্য স্লো ডিমাইজ অফ দ্য রিজিয়ন্স ইনডিজেনাস পিপল’ ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা অধিদপ্তর ‘নোরাড’-এর অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন গুলো তৈরি করা হয়৷
ডেনমার্ক ও নরওয়ের ‘নোরাড’এর- অর্থায়নে তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থা গুলোর যৌথ উদ্যোগে গোপনে তৈরিকৃত মিথ্যা প্রতিবেদন সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

লেখক ব্লগার মোঃ সোহেল রিগ্যান 

আগের পোস্টনির্ধারিত সময়ে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে কাপ্তাইে হ্রদে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী
পরের পোস্টসাজেকে মসজিদ প্রকল্প রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের- সেনাবাহিনীর নয়।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন