জেএসএস সন্তু সমঝোতা লঙ্ঘন করে ইউপিডিএফের এলাকায় প্রবেশ করায় আবারো উত্তপ্ত পাহাড়!

0



||প্রেস বিজ্ঞপ্তি||

পার্বত্য চুক্তি পক্ষ জেএসএস সমঝোতা লঙ্ঘন করে ইউপিডিএফের এলাকায় প্রবেশ করায় আবারো উত্তপ্ত পাহাড়! খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার কার্বারীরা নতুন করে ভ্রাতৃঘতি সংঘাতের আশঙ্কা দূর করতে ইউপিডিএফের সাথে হওয়া সমঝোতার শর্ত মেনে চলার জন্য জেএসএসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক ২০ অক্টোবর ২০২০ তিনটি স্থানে আয়োজিত সভায় উপস্থিত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১১৫ জন কার্বারী তাদের স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।

সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত উক্ত বিবৃতিতে কার্বারীগণ বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, পানছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তর সীমান্তে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে নতুন করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

তারা বলেন, ‘জেএসএস ইউপিডিএফের সাথে তাদের সম্পাদিত সমঝোতা লঙ্ঘন করে ইউপিডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করার ফলে এই নতুন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে উভয় দলের উচ্চ পর্যায়ের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে উক্ত সমঝোতা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

কার্বারীবৃন্দ ‘উভয় পার্টির তথা জনগণের জন্য হিতকর উক্ত সমঝোতা লঙ্ঘনকে অসঙ্গত, অপ্রত্যাশিত ও জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী একটি অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং ‘সমঝোতা লঙ্ঘনকারী পক্ষকে অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে প্রতিপক্ষ দলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে নিজেদের ‘বিশেষ কর্মী বাহিনীকে’ প্রত্যাহারপূর্বক নতুন করে সংঘাত শুরুর আশঙ্কা’ দুর করার দাবি জানান।

একই সাথে তারা বহু কাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত উক্ত সমঝোতার সকল শর্ত মেনে চলার জন্য উভয় দলকে অনুরোধ জানান।

বিবৃতিতে কার্বারীগণ ২০১৮ সালের উক্ত সমঝোতাকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে সংলাপ শুরু করতে উভয় দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একমাত্র বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের মাধ্যমেই জনগণের ন্যায্য অধিকার অর্জিত হতে পারে। অপরদিকে নিজেদের মধ্যে সংঘাত—হানাহানি জাতির জন্য চরম সর্বনাশ ডেকে আনবে। গত ২২/২৩ বছর ধরে চলা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জাতি ও জনগণের জন্য ক্ষতি ছাড়া কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি।’

বিবৃতিতে তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা ইউপিডিএফ ও জেএসএস ব্যতীত অন্যন্য পাহাড়ি দল ও গ্রুপগুলোকেও সংঘাত ও সহিংসতা পরিহার করে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তারা নারী নিযাতনের বর্বর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
উক্ত যৌথ বিবৃতিতে কার্বারীগণ ইউপিডিএফ, জেএসএসসহ সকল দল ও সংগঠনকে নিজেদের মধ্যেকার সকল প্রকার বৈরীতা ভুলে গিয়ে একজোট হয়ে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ যে, জেএসএস ইউপিডিএফ প্রথম সমঝোতা চুক্তি ২০১৬ সালের জুন মাসে হয়।

আগের পোস্টসেনাবাহিনী নিয়ে বারবার মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ!
পরের পোস্টঅস্ত্রসহ বৌদ্ধ ধর্মগুরু ভিক্ষুর ৩ সহযোগী আটকের বিষয়টি চেপে যাওয়া হয়েছে!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন