ত্রিপুরার সাবেক রাজপরিবারের প্রধান ও বিজেপি নেতা প্রদ্যোত মানিক্য দেব বর্মা বলেছেন, ভারত যদি সিলিগুড়ি করিডোর (চিকেনস নেক) সুরক্ষিত করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় না করে, বরং ভৌগোলিকভাবে সম্প্রসারিত হয়, তবে এটি আরও লাভজনক হতে পারে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ ত্রিপুরী, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠীর এলাকা ভারতের দখলে নেওয়া উচিত। ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের উপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া ছিল দেশের “সবচেয়ে বড় ভুল।”
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি চীনের বেইজিংয়ে এক বক্তব্যে দাবি করেন যে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের “অভিভাবক” এবং ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ভূমিবেষ্টিত (ল্যান্ডলকড)। প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে উস্কানীমূলকভাবে প্রদ্যোৎ মানিক্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X-এ একটি ভিডিও শেয়ার করে বাংলাদেশ ভাগ করার হুমকি দেন। তিনি বলেন, ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে এবং ঐতিহাসিকভাবে চট্টগ্রামের শাসক ছিল এমন উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জোগানো উচিত। তিনি উল্লেখ করেন যে, ব্রিটিশ ভারতের বিভক্তির সময় ওই অঞ্চলের অনেক বাসিন্দাই ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে বলেন, মনে রাখা দরকার, চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।
দেব বর্মা আরও বলেন, ভারতের উচিত বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত নিজেদের সীমান্ত সম্প্রসারণ করা, যাতে ত্রিপুরা নিজস্ব সমুদ্রপথ পায়।