নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি সদরের আপার পেরাছড়া এলাকা থেকে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অপহরণের শিকার হওয়া বাঙালি ফার্নিচার ও কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ সফিকুল ইসলাম রাসেল (৩৩) দীর্ঘ ১ বছর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার হয়নি। তার জীবিত বা মৃত্যুর কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তৎকালীন ১জনকে আটক করলেও পরবর্তীতে এজাহার নামা ও অজ্ঞাত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অপহরণের ঘটনাটি ঘটে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আপার পেরাছড়া শান্তি রঞ্জন চাকমার মালিকানাধীন একটি টিনের ঘরে অবস্থিত রাসেলের কাঠের দোকান থেকে। মামলার বাদী তার ভাই মোঃ জহিরুল ইসলাম প্রথমে থানায় একটি জিডি করেন। যা ৯৯২, তারিখ, ০৯/০৫/২০২৩। জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তরা খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও অর্থ দাবির অপরাধে জড়িত। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩৬৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ১.প্রদীপ চাকনা মরুজ্যোতি (৪৩), পিতা-ভারত চন্দ্র চাকমা, মাতা-বাঁধনী চাকমা, স্থায়ী ঠিকানা: (খইয়াতলী (রিজার্ভ ফরেস্ট), পোষ্ট-বাঘাইহাট), উপজেলা/থানা- বায্যইছড়ি, জেলা রাঙ্গামাটি, ২. মিঞ ধন চাকদা ও সুজন(২৭), পিতা-মৃত রজনী কুমার চাকমা, মাতা-মুক্তকতা চাকমা, স্থায়ী গ্রাম- গুলশাখালী (শান্তিনগর, গুলশাখালী), উপজেলা/থানা- লংগদু, জেলা -রাঙ্গামাটি, ৩. সন্ধ্যা ঢাকমা (মৌসুমী (২৪), স্বামী/স্ত্রী মিক্রধন চাকমা ও সুজন, স্থায়ী ঠিকানা: শান্তিনগর, গুলশাখালী, উপজেলা/থানা- লংগদু, জেলা: রাঙ্গামাটি। ৪. বরুন চাকমা (২৩), পিতা-ধনঞ্জয় চাকমা, মাতা-প্রভুলতা চাকমা, স্থায়ী ঠিকানা- তারাবুনিয়া (উত্তর তারাবুনিয়া), উপজেলা/থানা- দিঘীনালা, জেলা- খাগড়াছড়ি। ৫. ধনজয় চাকমা(৫৫), পিতা-মৃত কলো চাকমা, মাতা-মৃত পদ্মমুয়ী চাকমা, স্থায়ী: গ্রামা-তারাবানিয়া, উপজেলা থানা- দীঘিনালা, জেলা-খাগড়াছড়ি। (8QJS2) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন। তবে পুলিশের উদাসীনতার কারণে সব আসামী গ্রেফতার সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫-এ ৫ জন উপজাতি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হলেও রাসেলের কোনো খোঁজ মিলছে না। ১ বছর ৫ মাস ধরে তার কোনো সন্ধান না পাওয়া প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ। বাঙালিদের জন্য কি প্রশাসনের কিছু করার নেই? আমরা শুধু জানতে চাই, রাসেল জীবিত আছে নাকি মৃত—এই খবরটুকু তার পরিবারকে দেওয়া হোক।”
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাকিব আরও বলেন, এই ঘটনা দ্রুত তদন্ত করে অপহৃতের সন্ধান এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
গত ২৪ এপ্রিল রাতে রাকিব তার ফেসবুক আইডি Justice Rakib নামক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করেন।