নিউজ ডেস্ক:
বান্দরবানের বাজার ফান্ডভুক্ত জমির স্থায়ী ব্যবস্থাপনার দাবিতে ৯৯ বছরের লিজসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন জেলার কিছু সচেতন নাগরিক ও বাসিন্দারা।
৩১ জুলাই দুপুরে জেলা প্রশাসকের অনুপস্থিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মনজুরুল হক স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। দাবিদাতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর এলাকার চেয়ারম্যান পাড়ার মুজিবুর রশিদ, মেম্বার পাড়ার আবিদুর রহমান, বনরূপা পাড়ার শাহাদাত হোসেন জনি, আর্মি পাড়ার সেলিম রেজা ও দৌলতুল কবির খান সিদ্দিকীসহ কয়েকজন স্থানীয় প্রতিনিধি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত শাসনপ্রথা অনুসারে বাজার ফান্ডভুক্ত জমি বন্ধক রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণের সুযোগ থাকলেও, ২০১৯ সাল থেকে অঘোষিতভাবে তা বন্ধ রয়েছে। এতে ভৌগোলিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থিক সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে তারা অমানবিক ও মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে আখ্যা দেন।
তাদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে যেসব লোকজন বাজার ফান্ডভুক্ত জমিতে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন, তারা বর্তমানে ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও বিনিয়োগে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। সরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকে ১০ বছরের চুক্তি দিয়ে এক ধরনের স্থবিরতা তৈরি করা হচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক গতিশীলতা রুদ্ধ করছে।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত ৬টি মূল দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. বাজার ফান্ডভুক্ত জমির লিজ মেয়াদ ৯৯ বছর করা
২. ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করা
৩. বহুতল ভবন নির্মাণে প্রশাসনিক অনুমতি প্রদান
৪. জমি ক্রয়-বিক্রয় ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সহজীকরণ
৫. কর ও খাজনা যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ
৬. বাজার ফান্ডের আওতা ও কাঠামোগত সম্প্রসারণ
তাদের অভিযোগ, উন্নয়নপ্রত্যাশী জনগণের ওপর এধরনের প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা আরোপ উন্নয়ন সহায়ক নয়, বরং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথকে বাধাগ্রস্ত করে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তারা জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে বাজার ফান্ডভুক্ত জমিতে ব্যাংক ঋণ প্রদান কার্যক্রম অলিখিতভাবে বন্ধ থাকায় এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ দাবিসমূহ উত্থাপন করে তাঁরা প্রশাসনিক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন।