||কাউখালী প্রতিনিধি||
রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ৪ নং কলমপতি ইউপি’র তারাবুনিয়া ইটের ভাটায় মহিলা শ্রমিককে জিম্মি করে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৭ দিন যাবত ৪ শ্রমিককে জিম্মি করে ৭০ হাজার টাকা গ্রহণ এবং ১ মাস যাবত বিনা পারিশ্রমিকে ইটের ভাটায় কাজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে কেএমবি ইটের ভাটার ফারুক কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মোঃ ফারুক (২৮) এর বিরুদ্ধে।
২৬ শে ডিসেম্বর ( শনিবার) রাত সাড়ে ৮টার সময় উক্ত স্থান হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউখালী থানাধীন নাইল্যাছড়ি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই (সশস্ত্র) মোঃ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৪ শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। তারাবুনিয়া কেএমবি ইটের ভাটার ফারুক কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মোঃ ফারুক (২৮) চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১ নং রাজানগর ইউনিয়নের বগাবিলের বাসিন্দা মোঃ সামশু মিয়ার ছেলে।
গত ২৪শে ডিসেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকায় তারাবুনিয়া কেএমবি ইটের ভাটার শ্রমিক মুক্তা বেগম জানান তাকে জোর করে শারীরিক নির্যাতন করেন। মুক্তা বেগম আরো জানান, ১ মাস যাবত বিনা পারিশ্রমিকে ৪ শ্রমিককে জোরপূর্বক ইটের ভাটার কাজ করিয়ে নিয়েছে এবং সবাইকে জিম্মি করে রাত হলে সিকল দিয়ে বেঁধে রাখে মালিক। এইভাবে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানায় শ্রমিকরা। ইট ভাটার শ্রমিকরা হলেন,
০১. মোঃ ফরহাদ (১৬) পিতাঃ মোঃ হারুন, ০২. মোছাঃ মুক্তা বেগম (৩৭) পিতাঃ মৃত মোঃ দুলাল, ০৩. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম(১৮) পিতাঃ মৃত মোঃ মালেক, ০৪. মোঃ জাহিদ (২৮) পিতাঃ আবুল কালাম। তারা লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউপি, ৮ নং ওয়ার্ডের চরপোরাগাছার বাসিন্দা।
নোয়াখালী সুধারাম থানা এলাকার মাঝি মোঃ তারেকের মাধ্যমে উক্ত শ্রমিকরা কেএমবি ইট ভাটায় শ্রমিক হিসেবে আসেন। মাঝি তারেক ফারুক থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে শ্রমিক পাঠায়। শ্রমিক নির্যাতন ও পারিশ্রমিক না দেওয়ার কারণে শ্রমিক জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে কাউখালী থানায় এজাহার দায়ের করে৷ কাউখালী থানার পুলিশ ইট ভাটার মালিক ফারুককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
শ্রমিকদের বেধে রাখার শিকল ও মারধর করার লাঠি, ছবিটি কাউখালী থানায় তোলা হয়।