স্টাফ রিপোর্টার
খাগড়াছড়ি জেলায় পার্বত্য চুক্তি বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ সমর্থিত জুম্ম ছাত্র জনতা ব্যানারে আয়োজিত অবরোধ সহিংস রূপ নিয়েছে। শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে চলা এই অবরোধে ৯ টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের চেঙ্গী যাওয়ার পথিমধ্যে এক টমটম চালককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় এবং আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকায় একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়। গুলিবিদ্ধ টমটম চালককে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সাধারণত হরতাল বা অবরোধে জরুরি সেবা—বিশেষ করে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স—ছাড় দেওয়া হলেও এবার ইউপিডিএফ তা মানেনি। বরং তারা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়ে মানবিকতার সব সীমা লঙ্ঘন করেছে। একই সঙ্গে একটি জেলা শহরে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ ২৪ সেপ্টেম্বর আধাবেলা অবরোধ, ২৬ সেপ্টেম্বর মহাসমাবেশ এবং আজকের (২৭ সেপ্টেম্বর) পূর্ণদিবস অবরোধের ডাক দেয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এভাবে ঘটনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ইউপিডিএফ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
অবরোধ চলাকালে সাজেক ও খাগড়াছড়ি শহরে হাজারো পর্যটক আটকা পড়ে। এছাড়া পানছড়ি, মহালছড়ি, রামগড়, দীঘিনালা, লক্ষীছড়ি, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ইউপিডিএফ। ফলে জরুরি সেবা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়।
সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন, ইউপিডিএফ এর এই কর্মকাণ্ড সরাসরি জনগণের স্বার্থ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার শামিল। তারা বলছেন, আন্দোলনের নামে নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে ইউপিডিএফ আসলে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।