কথিত আদিবাসী শব্দ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেও প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ নেই।

0

পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় আদিবাসী শব্দ পরিহারের জন্য সরকারী দপ্তর ও চাকমা সার্কেল চীফ তথাকথিত রাজা দেবাশীষ রায়কে প্রেরণ করা চিঠিতে অনুরোধ করেছে। অনুরোধের চিঠি গুলো এবং চাকমা চীফ সার্কেলের চিঠির জবাব গুলোর কপি দেওয়া হলো।

আদিবাসী শব্দ পরিহার প্রসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত স্মারক মূল্যে চিঠি কোন আদেশ নয়, এটি একটি নির্দেশনামূলক অনুরোধ মাত্র৷ তা চাকমা সার্কেল চিফ মেনে চলা কিংবা মেনে না চলা সেটা তার নিজেস্ব এখতিয়ার। কারণ, এটি কোন আদেশ নয়, শুধুমাত্র একটি অনুরোধ! যদিও অধিকাংশ বাংগালী বিষয়টি বুঝতে অক্ষম! উক্ত স্মারক চিঠির জবাবে প্রেরিত চিঠিতে চাকমা সার্কেল চিফ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ Wagachara tea Estate Ltd. V Md Abu Taher & Others, 36 BLT
(AD) 36, এবং Rangamati Food Products Ltd V government BLT (AD) 121 মামলালয়ের প্রাপ্ত আদেশ সংযুক্ত করে দিয়েছে। সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে দুইটি মামলায় রায় দেওয়া সহ ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন বৈধ করে দিয়ে গেছেন!

উক্ত রায়টি আদিবাসী স্বীকৃতি প্রদানে ভূমিকা রাখবে। এখন উক্ত রায়ের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা উচিত৷ না হয় কথিত আদিবাসী শব্দ পরিহার সম্ভব না। কেউ যদি পার্বত্য চুক্তি ও সংবিধানের ২৩ এর (ক) উপজাতি শব্দ ব্যবহার না করে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেও প্রতিকার পাওয়া যাবে না, কারণ সুপ্রিম কোর্টের উপরোক্ত রায়ের ব্যাখা দিয়ে মামলা হতে মুক্তির সুযোগ রয়েছে।

 

আগের পোস্টআমি সাধারণত চোগলখোরও রিয়াজ বাঙ্গালীর মতো ছ্যাঁছড়া পোলাপান নিয়ে লিখিনা।
পরের পোস্টধর্ষণ বিরোধী গণসমাবেশ ১২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ৩ টায় শাহবাগ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন