উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার আরেক উপজাতি সন্ত্রাসী।

0
119

চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি এবং সুন্দরী মেয়ে ভাগাভাগি নিয়ে দু’টি সন্ত্রাসী সংগঠন মুখামুখি অবস্থানে। তারই জের ধরে তাদের মধ্যে একে অপরকে ঘায়েল করার প্রচেষ্ঠা চলছে। মূলত তার জন্যেই মধ্যযোগী কায়দায় এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে গতকাল (মঙ্গলবার) ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ খ্রিস্টাব্দে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে হচ্ছে টা কি? এখানকার কর্ণধারেরা এই দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক উপজাতিদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে না? এখানকার সাধারণ উপজাতি বাঙ্গালী সন্ত্রাসীদের তীব্র চাঁদাবাজি, হামলা-মামলা ও অপহরণ, খুন-গুমে অতিষ্ঠ। পাহাড়ের জনজীবন আজ বিপর্যস্ত, এর থেকে পরিত্রাণ পেতে রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী দমনে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যথাসময়ে। অন্যথায় এ অঞ্চল ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদে ধাবিত হবে, অশান্ত হবে পার্বত্য জনজীবন। বাংলাদেশ হারাবে তার এক-দশমাংশ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। বৈদেশিক অপশক্তি ও শকুনেরা এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে পার্বত্য নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তার উপরে এ অঞ্চলের উপজাতীয়দের খ্রিস্টান মিশনারী ও এনজিও গুলো ধর্মান্তরিত করে বৌদ্ধ ধর্মের বিলুপ্ত করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে, উপজাতিরা ঐকবদ্ধ হয়ে এ ধর্মান্তর করার অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। তার জন্য রাষ্ট্রকে নিজেদের সমস্যা গুলো জানাতে হবে। তবেই রাষ্ট্র আন্তরিক হবে এবং তথ্য পেয়ে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে।

পার্বত্য চুক্তির পরেও অবৈধ অস্ত্রধারীরা সক্রিয়। চুক্তির পূর্বে ছিলো এক পক্ষ এখন চুক্তির পরে হয়েছে ৪টি গ্রুপ। সবাই উপজাতি জনগোষ্ঠীর অধিকারের দোহাই দিলেও তাদের ‘গঠন উদ্দেশ্য’ কিন্তু চাঁদাবাজি, অপহরণ, আধিপত্য বিস্তার,আধুনিক অস্ত্র সংগ্রহ এবং রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানানো ও সুন্দরী মেয়ে ভোগ করা। এসব নিয়ে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর মধ্যে হানাহানি, মারামারি অস্ত্রের লড়াই চলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে৷ যার বলি হয়েছে পাহাড়ের নিরীহ নিরস্ত্র হাজারো উপজাতি বাঙ্গালী।

হান্নান সরকার

লেখক ও গবেষক পার্বত্য চট্টগ্রাম

আগের পোস্টউপজাতি সংগঠনগুলোর ভয়াবহ চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুমে দিশেহারা পার্বত্যবাসী!
পরের পোস্টঐতিহ্যবাহী পোশাকে ব্রাজিলের দুই আদিবাসী নারী।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন