সেনা ও বিমান বাহিনীর সহায়তায় মাতামুহুরী ও সাঙ্গু রিজার্ভ ফরেস্টে বীজ ছিটালাে লামা বনবিভাগ।

0

প্রেস: বিজ্ঞপ্তি

আজ ৩১ আগস্ট ২০২১ তারিখ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযােগিতায় ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্যে আকাশ হতে সীডবল নিক্ষেপের মাধ্যমে মাতামুহুরী ও সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চলে চাম্পাফুল , পুতিজাম , ঢাকিজাম , কালােজাম , গামার , করই , জারুল , হারগাজা ইত্যাদি প্রজাতির বীজ বপন করা হয়েছে । পার্বত্য চট্টগ্রামে হেলিকপ্টারের সাহায্যে আকাশ হতে সীডবল নিক্ষেপের মাধ্যমে বনায়ন একটি বিরল ও বাংলাদেশ স্বাধীনের পর একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে লামা বন বিভাগ , যা মুজিব শতবর্ষ ও সুবর্ণ জয়ন্তীর উপহার হিসেবে কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে । বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের বান্দরবান রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মােঃ জিয়াউল হক , এএফডব্লিউসি , পিএসসি এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন । তিনি বলেন , জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য জীব – বৈচিত্র দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে । বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্রের অনেক প্রজাতি ইতােমধ্যে আমাদের পরিবেশ থেকে হারিয়ে গেছে । বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী বিরল তালিকায় স্থান করে নিয়েছে । এ ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে বৃক্ষ ও বনাঞ্চল । জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস , জীব – বৈচিত্র সংরক্ষণ এবং সর্বোপরি দেশের উন্নয়নের মূলধারা অব্যাহত রাখতে হলে ব্যাপকহারে বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা জরুরী । একই সাথে জনসাধারণকে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন করা এবং বনাঞ্চল সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ করা একান্ত অপরিহার্য । তিনি আরও বলেন , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযােগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি আত্মনির্ভরশীল , উন্নত ও টেকসই , বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সােনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমগ্র বাংলাদেশে টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের অংশ হিসেবে সবুজায়ন ও বনায়ন কর্মসূচীর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে ।

পার্বত্য চট্টগ্রামের এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলি আমাদের দেশের প্রকৃিতিক ভারসাম্যের জন্য একান্ত অপরিহার্য । তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মােকাবেলা , পরিবেশ রক্ষা ও একটি অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই ধরনের বনায়ন কর্মসূচীর গুরুত্ব অনস্বীকার্য । আজকের এই বনায়ন কর্মসূচীতে ৪৮০ কেজি বিরল ও বিলুপ্ত প্রজাতির বীজ ছিটানাে হয়েছে , যা জীব – বৈচিত্র সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে । তবে শুধুমাত্র সরকারি পর্যায়ে নয় ব্যক্তিগত , পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও বেশি বেশি করে গাছ লাগানাের জন্য তিনি সবাইকে আহবান জানান । লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়সার জানিয়ছেন , হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উপর থেকে বীজ ছিটানাে হলে এতে বীজের অঙ্কুরােদগম কেমন হবে তা একটি পরীক্ষার বিষয় । অধিকাংশ বীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে । তবে কিছু পরিমাণ বীজও যদি অঙ্কুরােদগম হয় তাও বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য সহায়ক হবে ।

আগের পোস্টকতটা রাজনৈতিক বিমূঢ় হলে একটা বিক্ষোভ সমাবেশে ৫জন হয়?তারমধ্যে আবার ৩জন কিশোরী।
পরের পোস্টসেনাবাহিনীর অবদানেই এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন