অবৈধ অস্ত্র ও গুলির উৎস ভারত ও মিয়ানমার। সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে। চোরাচালানে সহায়তা করছে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী কয়েকটি দল। এরপর অস্ত্রকারবারিদের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে।
|বুলবুল রেজা|
আন্তঃদেশীয় অস্ত্রকারবার চক্রের চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গুলির চূড়ান্ত গন্তব্য জানতে ক্রেতাদের তালিকা ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অস্ত্রের চালান ডেলিভারি দিতে ঢাকায় এসে ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন আন্তঃদেশীয় অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা চক্রের চার সদস্য। পেট্রাবেরা ও ওয়ালথারের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছে থেকে। ৩০১ রাউন্ড গুলির মধ্যে রয়েছে একে ফোরটি সেভেনের দশ রাউন্ড গুলিও।
আসামিদের তিন দিনের রিমাণ্ড শেষে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, অবৈধ অস্ত্রের মূল কারবারি মোহাম্মদ হোসেনের অন্যতম সহযোগী রাঙামাটির বরকলের বাসিন্দা লালতন পাংখুয়া। তার মামা লালচাঁন পাংখুয়া ভারতের মিজোরাম থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি চোরাচালানের দায়িত্ব পালন করে। পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকা ও সিলেট থেকে চালান সংগ্রহ করে লালতন পাংখুয়া ও তার দলবল। একইভাবে তারা মিয়ানমার থেকেও অস্ত্র-গুলির চালান আনছে।
ডিএমপি সিটিটিসি স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপপুলিশ কমিশনার আব্দুল মান্নান বলেন, অবৈধ অস্ত্রগুলো আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন গ্রুপ টাকার বিনিময়ে সহযোগিতা করে থাকে। যারা সহযোগিতা করেন, তারা পেশাগত ব্যবসায়ী না। তবে তারা জেনে বুঝে টাকার জন্য সহযোগিতা করেন।
চক্রের হোতা মোহাম্মদ হোসেনের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি চলে যাচ্ছে কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে। এসব অস্ত্রের ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে বৈধ লাইসেন্সধারীরাও। খোঁজ চলছে একে ফোরটি সেভেন রাইফেলের গুলির ক্রেতাদেরও।
আব্দুল মান্নান বলেন, যেহেতু অবৈধভাবে আসছে, তাই কেউ না কেউ সংগ্রহ করছেন এবং ব্যবহার করছেন। আমরা সে বিষয়ে তদন্ত করছি। এই ধরনের অবৈধ অস্ত্রধারী যারা আছেন, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব বলে মনে করি।
কারা ব্যবহার করছে অবৈধ অস্ত্র, এর পেছনে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি আছে কিনা, তদন্ত করছে সিটিটিসি।