৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত এদেশেও দিবসটি ডাকডোক পিটিয়ে পালন করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা উপজাতি জাতিসত্বা। যদিও উপজাতিরা এদেশের আদিবাসী নয়। তাদের আদিনিবাস মঙ্গোলীয় ও বার্মার চম্পকনগর। অতীত ইতিহাস ও পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের আগমনের ইতিহাস এবং বর্তমান সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সামাজিক প্রথাগত সবকিছুই বিবেচনা করলে তারা কোনভাবেই আদিবাসী হওয়ার দাবি রাখেনা। জাতিসংঘের আদিবাসী ও উপজাতি জনগোষ্ঠীর কনভেনশন এর ILO কনভেনশন 1 এর (a) সংজ্ঞা মতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্বা উপজাতি। বাংলাদেশ সংবিধান এর ২৩ (ক) মতে তাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-উপজাতি ও ক্ষুদ্র জাতিসত্বা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতেও তাদেরকে উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা আদিবাসী না হওয়ার স্বত্বেও দিবসটি এদেশে পালনের জন্য পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত মিশনারী, এনজিও, দাতাসংস্থা ২ কোটি টাকার একটি ফান্ড ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম’ কে দিয়েছে বলে গোপন সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়৷ গতকাল ৩১ জুলাই ‘Mongasi Marma Nimong’ নামের একটি ফেসবুক আইডি হতে স্ট্যাটাস দিয়ে ফান্ড দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে। তার ফেসবুক স্ট্যাটাস’টি পাঠকদের জ্ঞাতার্থে হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো। আইডি লিংক… https://www.facebook.com/profile.php?id=100008170246783
স্ট্যাটাস এর লিংক… https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0aZSZxuAYJmFa6BjhGVNS4i1Zg9P8A27hRLeseMEqkjzmvA3e5yqx4a2xAHVykvT6l&id=100008170246783
“আদিবাসী দিবস পালনের জন্য যদি ফান্ড বাইরের দেশ থেকে এসে থাকে, তাহলে একজন আদিবাসী হিসেবে আমার বিকাশ নাম্বারে আমার ভাগেরটা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। 🙏 (একটা জরুরি কাজের জন্য প্রোগ্রামে যেতে পারছি না 😥)
তার বিনিময়ে সেদিন আমি ‘আদিবাসী কী বা কাকে বলা হয়’ এরকম টাইটেল দিয়ে একটা লেখা ফেইসবুকে পোস্ট দেব।
আমার বিকাশ নাম্বার হচ্ছে- 01855145229(পার্সোলান)। টাকা পাঠানোর পরে অবশ্যই কল করে লাস্টের তিন ডিজিটটা বললে হবে।
খুব অর্থ ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আজকাল। 😥 বুঝছেন তো ব্যাপারটা?”
এদেশের উপজাতিদের আদিবাসী বানাতে এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলো যে, তৎপরতা চালাচ্ছে, এবং ফান্ড দিচ্ছে তা যথেষ্ট সন্দেহজনক ও বিস্ময়কর ব্যাপার। বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করে বলা যায় এটি দেশভাগের একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড হতে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠন করার জন্য আদিবাসী শব্দ’টির সাংবিধানিক স্বীকৃতি অনেক গুরুত্ব বহর করে। জাতিসংঘের ২০০৭ সালের ঘোষণাপত্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ভূমি অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার এবং তার জাতীয়তা লাভের সুযোগ দিয়েছে। মূলত এ থেকে বাংলাদেশের উপজাতিগুলো নিজেদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পেতে মরিয়া হয়ে উঠে৷ প্রতিবছর ৯ আগস্ট আসলেই বাংলাদেশে দিবসটি ডাকডোক পিটিয়ে পালন করা হয়। আর এ দিবসটি পালন ও মিডিয়া প্রচারের জন্য বিদেশ থেকে দেওয়া ফান্ড খরচ করা হয়।