রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলার দুর্গম বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ছোট পানছড়ি নামক এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে সেনাবাহিনী ৩ জনকে আটক করে। এর মধ্যে একজন আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলের চাঁদা কালেক্টর হিসেবে জানিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসী।
একজন হত্যা মামলার আসামীকে আটক ঠিক কী কারণে করা হয় তা সবাই জানলেও জানেনা ইউপিডিএফ-জেএসএস সংবাদমাধ্যমগুলো। বনযোগীছড়া ইউনিয়ন হইতে আটককৃত সুভাষ বিজয় চাকমা দীর্ঘদিন হইতে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম এর মত ঘৃণিত কাজে জড়িত তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাই তাকে আটক করা হয়েছে৷ আটককালে তার কাছ থেকে একটি মিলিটারি চাকু উদ্ধার করা হয়। আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যাচার।
বাস্তবিক অর্থে বললে সেনাবাহিনী কোন নিরিহ মানুষদের হয়রানি বা আটক করেনা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘৃণ্য অপরাধ কাণ্ডে জড়িত নয়। গত মঙ্গলবার সেনাবাহিনী মোট ৩জনকে আটক করে। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অমর বিকাশ চাকমা, পিতা-অশ্বিনী কুমার চাকমা, গ্রাম- ছোট পানছড়ি ও মন’ চাকমা, পিতা-রজনী চাকমা, সাং-আইমাছড়া ইউনিয়ন, বরকল উপজেলাকে ছেড়ে দিয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলার দাগী আসামী সুভাষ বিজয় চাকমাকে থানার হস্তান্তর করেছে।
স্থানীয় জনসাধারণ দীর্ঘদিন সুভাষ বিজয় চাকমার চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতিতে অতিষ্ঠ ছিল। সেনাবাহিনী কর্তৃক উক্ত সন্ত্রাসী আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করে এবং সেনাবাহিনীকে সাধুবাদ জানায়।
ইউপিডিএফ-জেএসএস এর মত চাঁদাবাজ সংগঠন তাদের চাঁদাবাজ আটক হলে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। সাধারণ মানুষ জানে ইউপিডিএফ-জেএসএস এর চাঁদাবাজি এবং অত্যাচার সম্পর্কে।