কলেজছাত্রের দেহাবশেষ উদ্ধার, উপজাতি আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা।

0

 

চট্টগ্রাম রাউজানের বাঙ্গালী কলেজছাত্রের দেহাবশেষ উদ্ধার, উপজাতি আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা।

১৩ দিন পর রাউজানের বাঙ্গালী কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার।

মুক্তিপণ দিয়েও প্রাণে বাঁচানো গেল না রাউজানের কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে (২০)। অপহরণের ১৩ দিন পর সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া শীলছড়ি গহিন পাহাড় থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ দিকে মরদেহ শনাক্ত করে ফেরার পথে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা চারদিক থেকে ঘেরাও করে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। এরপর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার প্রধান আসামি উপজাতি উমংচিং মারমাকে (২৬) ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যও আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন (৪৬), উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন (৩৫), এসআই কিশোর কুমার (৩২), এএসআই আজিজুল হাকিম (২৯), এসআই কানু লাল (৪০), এএসআই শাহিদুল ইসলাম (৩৮) ও পুলিশের এক পিকআপ ভ্যানচালক। এতে এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, হৃদয়ের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ গণপিটুনিতে এক আসামিকে হত্যা করেছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়।

জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট অপহরণের দুদিন পর অপহরণকারীরা শিবলীর মাকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে সাড়া না পেয়ে গত ৩১ আগস্ট আবার ফোন করে দুই লাখ টাকা চায়। পর দিন ১ সেপ্টেম্বর শিবলীর বাবা দুই লাখ টাকা নিয়ে বান্দরবান জেলা সদরের পূর্বনির্ধারিত জায়গা ডুলুপাড়া গিয়ে দুজন লোকের হাতে টাকা তুলে দেন। টাকা দেওয়ার সময় তাদের ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

কিন্তু হৃদয় আর বাড়ি ফেরেনি। এ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাউজান থানায় অপহরণের মামলা করে হৃদয়ের মা নাহিদা আকতার। পুলিশ অপহরণের সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাপমারা গ্রামের উহামং মারমার পুত্র আছমং মারমা (২৬) ও একই জেলার কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আমতলী পাড়া গ্রামের ঊষাচিং মারমার পুত্র উক্যথোয়াই মারমা (১৯)।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম নগরীর চাঁদগাঁও এলাকা থেকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত অপর তিনজনকে আটক করে র‌্যাব-৭। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের সর্বপূর্বে রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ার একটি পাহাড় থেকে খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতি পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, রাউজান রাঙ্গুনিয়া সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।

গত ২৭ আগস্ট রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়ার মুরগি খামার থেকে উপজাতী কিছু বন্ধু কর্তৃক অপহৃত হয় কলেজছাত্র হৃদয়। সে কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রওশান আলী বাড়ির মুহাম্মদ শফির ছেলে।

এই থেকে পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, পাহাড়ে অপহরণ, খুন-গুম এবং চাঁদাবাজি করলে বাঙ্গালীরা গণধোলাই দিয়ে চট্টগ্রাম রাউজানের মত করবে। তাই সাবধান হয়ে যাও এবং খুন-গুম, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজি পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসো।

আগের পোস্টরামগড় থেকে চালকসহ ৩ বাঙ্গালীকে অপহরণ করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ।
পরের পোস্টআচালং, গৌরাঙ্গ পাড়া, দেওয়ান বাজার, তবলছড়ি, তাইন্দং, বর্ণাল, রামছিরা, গোমতি গণহত্যা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন