হরতালের নামে ইউপিডিএফ এর নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড!

0

চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের চার নেতা গত ১১ ডিসেম্বর রাত্রে পানছড়ির লৌহগাং এলাকার একটি বাড়িতে নিহত হয়। নিহত হওয়ার জের ধরে ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলায় অদ্য ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে সকাল সন্ধ্যায় হরতালের ডাক দেয়।

ইউপিডিএফ হরতাল- অবরোধের নামে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর চালিয়ে বড় ধরনের নাশকতার চেষ্টা করে। জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় গোবামারা এলাকায় বাঙ্গালীদের পিকআপ ও সিএনজি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করে। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশা সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে দেয়। ইউপিডিএফ সশস্ত্র গ্রুপের তাড়া খেয়ে একটি পিকআপ উল্টে যায়।পুড়িয়ে দেওয়া সিএনজি অটোরিকশা পুলিশকে উদ্ধার করতে দেখা যায়।

জেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ৩/৪টি যানবাহন ভাংচুর করার খবর পাওয়া গেছে। তবে ইউপিডিএফ এর হরতালের প্রভাব পড়েনি জেলার অনেক উপজেলায়। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকায় চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ব্যর্থ হরতাল পালন করছে।

ইউপিডিএফ প্রতিবারই হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা সৃষ্টি করে। ঘোলাপানিতে মাছ শিকার ইউপিডিএফ এর সাংগঠনিক রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার।

ইউপিডিএফ এর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের ক্ষতিসাধন করে তারা দিনদিন মানুষের কাতার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাদের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি ও খুন-গুম এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংঘর্ষ ও হানাহানি এবং মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করার জন্য ইউপিডিএফ এর বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বৈরী আচরণ দায়ী।

তারা হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচীর নামে যানবাহনে আগুন দিয়েই মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। তাদের এমন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পার্বত্যবাসী হতাশ। পার্বত্যবাসী আশা করে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিহার করে গণতান্ত্রিক দ্বারায় প্রতিবাদ করবে।

আগের পোস্টইউপিডিএফ এর ডাকা হরতালে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার সর্বশেষ পরিস্থিতি।
পরের পোস্টরুমা জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র, শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং মেডিক্যাল সহযোগিতা প্রদান।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন