——জুঁই চাকমা :: প্রকৃতি ও পরিবেশে ভরপুর ছিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম। পাহাড়ের গায়ে ছিলো সবুজ আর সবুজ। শত বছর পরে পাহাড় এখন মরুভুমি। যেন মৃত্যু ফাঁদ। আগে যেখানে পাহাড়ে বসবাস করতো বাঘ ভালুক সিংহ হরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী। এক সময় যেখানে সন্ধ্যা নেমে আসলে শোনা যেতো শিয়ালের ডাক এখন সেখানে হাজার হাজার লোকের বসবাস। পাহাড়ে শত বছরের ইতিহাসে বিপর্যয় নেমে আসে, গত ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী সদস্যসহ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে কেবলমাত্র পাহাড় ধ্বসের কারণে। আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে যাই, পার্বত্য অঞ্চলের বন বিভাগের ইতিহাস আমাদের সামনে চলে আসে। তাই পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে পর্যালোচনা করার আগে এই অঞ্চলে বন বিভাগের ইতিহাস জানা অত্যাবশ্যক।
বন বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয় ১৮৬২ সালে। স্যার ডায়েট্রিচ ব্রান্ডিস নামক একজন জার্মান ফরেষ্টারকে ১৮৬২ সালে প্রথম ইন্সপেক্টর জেনারেল অব ফরেষ্ট নিয়োগ করা হয়।
১৮৬২ সাল থেকে ১৮৬৪ সাল পর্যন্ত বন বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অধিনে ছিল। ১৮৬৫ সালে বন আইন প্রণীত হয়। এর ফলে সর্ব প্রথম পার্বত্য অঞ্চলে সরকারী বিভাগ অনুপ্রবেশ ঘটে বনবিভাগের মাধ্যমে। ১৮৬৫ সাল থেকে ১৮৭১ সাল পর্যন্ত বন বিভাগ চাকমা, মং ও বোমাং সার্কেল চীফদের কাছে ন্যাস্ত ছিল। সার্কেল চীফরা বনজ সম্পদ আহরণ, বহনের অনুমতি ও টোল আদায় করতেন। ১৮৭১ সালে ইংরেজরা বার্মা থেকে সেগুন গাছের বীজ এনে সর্ব প্রথম বন বিভাগ স্বতন্ত্র বিভাগ হিসাবে ১৮৭২ সাল থেকে বন বিভাগ পার্বত্য অঞ্চলে বনায়ন শুরু করে। বৈজ্ঞানিকভাবে বন ব্যবস্থাপনার জন্য সর্ব প্রথম সুন্দর বনে ওয়ার্কিং প্লান তৈরী হয় ১৮৯২ সালে। বন নীতি প্রণীত হয় ১৮৯৪ সালে। পার্বত্য অঞ্চলে জুমিয়াদের অংশ গ্রহনে টঙ্গিয়া পদ্ধতিতে বনায়ন শুরু হয় ১৯১২ সালে। যা বর্তমান বাংলাদেশে স্থানীয় জনগোষ্ঠির সম্পৃক্তকরনে বন ব্যবস্থাপনার প্রথম কার্যকরী উদ্যোগ । সর্বপ্রথম ফরেষ্ট ইনভেন্টরী করা হয় ১৯৬১ সালে। ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিলে মানবসৃষ্ট কাপ্তাই হ্রদের সৃষ্টি হয়। পার্বত্য অঞ্চলে বিলাইছড়ির রাইক্ষং হ্রদ ও বান্দরবনের বগালেক প্রকৃতির দ্বারা সৃষ্ট আরো দুটি হ্রদ এই অঞ্চলে বিদ্যমান রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির ফলে পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় বসবাসকারীদের জীবণমান উন্নয়ন, আর্থিক সমৃদ্ধি, প্রকৃতি ও পরিবেশের সম্ভাবনা, বন উজার, বনায়ন, বনধ্বংস নতুন আঙ্গিকে মোড় নেয়। আগে যেখানে গভীর বনে ১০-১২ জনের দল (স-ফুট) গাছ চিড়াই করে ছোটছোট নৌকায় বহন করে জেলা সদরে কাঠ নিয়ে আসতো, হ্রদ সৃষ্টি হওয়ার ফলে হাজার হাজার সিএফটি ঘনফুট কাঠ ইঞ্জিন চালিত রাশিয়ান বোটের মাধ্যমে কাঠ বোঝায় করে জেলা সদরে আনার সুযোগ সৃষ্টি হয়, তার সাথে যুক্ত হয় করাত কল। আগে যেভাবে কাঠ চিড়াই ও বহন করা হতো কাপ্তাই হ্রদের কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পানিতে ভাসিয়ে বড়বড় গাছ জেলা সদরে এনে করাতকলে চিড়াইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে ত্বরান্বিত হয় বন উজার এবং বন ধ্বংসের কার্যক্রম। এ যেন প্রকৃতির সৃষ্টি বনাঞ্চল ধ্বংসের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়ত যেভাবে বন ধ্বংস বা বন উজার করা হয়েছে সেভাবে নতুন বনায়ন সৃষ্টি করা হয়নি।
১৯৬৩ সালে পার্বত্য অঞ্চলে বন সম্প্রসারন শুরু হয়। অদ্যবধি সেই সম্প্রসারিত বন দিয়ে সরকারী বন বিভাগ চলমান বা বহমান রয়েছে এই অঞ্চল। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যেসব বাগান মালিক বা জোত পারমিট প্রদান করা হচ্ছে সেসব বাগানের মধ্যে নেই কোন গাছ বা বাগান। প্রতি এক হাজার জোত পারমিটে হাতে গোনা দুইচারটি বাদে প্রায় জোত পারমিট ভুয়া বলে বন বিভাগের এক উর্ধ¦তন কর্মকর্তা মত প্রকাশ করেছেন। সরকার বা বন বিভাগ বাশ, জ¦ালানী ও বিভিন্ন প্রজাতির বনজ দ্রব্য থেকে তিন জেলা হতে প্রতিবছর প্রায় দশ থেকে বার কোটি টাকা টোল বা কর পাচ্ছেন। অথচ প্রতিবছর পার্বত্য অঞ্চল থেকে জোত পারমিটের মাধ্যমে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার কাঠ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে, সেসব কাঠ থেকে সরকার কোন টোল বা কর পাচ্ছেনা সরকার।
আগে একসময় পাহাড়ের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ ব্যাক্তি পর্যায়ে সংগহ্র করে এক জায়গায় মজুদ করে রাখার পর বন বিভাগ পরিমাপ করে নির্দিষ্ট কর নির্ধারনের মাধ্যমে রেভিনিউ পারমিট প্রদান করত, সে প্রক্রিয়াটি এরশাদ সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।
পাহাড়ের গায়ে বন বিভাগ ও ব্যক্তি পর্যায়ে কিছু কিছু বনাঞ্চল বা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করলেও প্রকৃতির সৃষ্ট বনাঞ্চল বহু আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। রাঙামাটি অঞ্চল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল মিলে বন বিভাগের ৯টি বিভাগ রয়েছে, তন্মধ্যে রাঙামাটি অঞ্চলের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ (সংরক্ষিত বন ১,৫৯,৩৭৯, অশ্রেণীভুক্ত বন ১,৫৩,০৬৩, মোট ৩,১২,৪৪২ একর), পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ (সংরক্ষিত বন ৮২,১৬১,অশ্রেণীভুক্ত সরকারী বন ১,৭২,৭২১, মোট-২,৫৪,৮৮২ একর), ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ (সংরক্ষিত বন ১২,৯০৩, অশ্রেণীভুক্ত ৯,৬০০ মোট-২২,৫০৩ একর), অশ্রেণীভুক্ত বনাঞ্চল বনীকরন বিভাগ (সংরক্ষিত বন ১২,৮০১, অশ্রেণীভুক্ত- ৮৯,৬৯৪, মোট- ১,০২,৪৯৫ একর), পাপ্পউড বাগান বিভাগ কাপ্তাই (২৯,২৭৯, অশ্রেণীভুক্ত- নাই, মোট-২৯,২৭৯ একর) ও খাগড়াছড়ি বন বিভাগ (১,৪০৯, অশ্রেণীভুক্ত ৮২,০৭৩ মোট-৮৩,৪৮২ একর)। চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রামে রয়েছে পাপ্পউড বাগান বিভাগ বান্দরবান, (সংরক্ষিত বন অঞ্চল নাই। অশ্রেণীভুক্ত ৫৮.,২৩৬ মোট ৫৮,২৩৬ একর), বান্দরবান বন বিভাগ (৪০,১৯৮,অশ্রেণীভুক্ত বনাঞ্চল ৭৮,৫৯২, মোট- ১,১৮,৭৯০ একর) ও লামা বন বিভাগ (সংরক্ষিত বন নাই। অশ্রেণীভুক্ত ৭৫,১৪৯, মোট-৭৫,১৪৯ একর)। পার্বত্য অঞ্চলে বনভুমি সংরক্ষিত বন ৫,৯৪৩৮৩, অধিগ্রহণকৃত বন ১১,০০৪, সুরক্ষিত বন ৩২,৩০৩, অর্পিত বন ২,৬৩৬, অশ্রেণীভুক্ত সরকারী বন ৭,২১,৩৪৪ মোট-১৩,৬১,৬৭০ একর ভুমির এ হিসাব খন্ড-খন্ড পরিসংখ্যান। ——
এছাড়া রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বৈধ ১১২ থেকে ১২০টির মত করাত কল রয়েছে। অবৈধ রয়েছে ৩০টি, তন্মধ্যে উচ্চ আদালতের রায়ে বেশ কয়েকটি করাত কল পরিচালনা করছে মালিকরা।
বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় জেলা প্রশাসন পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি এবং পরিবেশ ধ্বংসের জন্য যারা বা যেসব সমিতি,কমিটি-প্রতিষ্ঠান দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছে। বন বিভাগ সংরক্ষিত বনঞ্চলের নিকটে বসবাসকারী নিরীহ লোকজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে চাকুরীর দায় সারেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে বছরের পর বছর নিরিহ পরিবারের সদস্যরা জেলখানায় বন্দি থাকেন এবং এসব পরিবারের নারী ও শিশুরা মানবেতার জীবণ যাপন করে। বনখেকো সিন্ডিকেট থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পার্বত্য অঞ্চলে বন উজারের পিছনে আরো কয়েকটি কারণ রয়েছে, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলাসহ সীমানা জুড়ে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইট পোড়ানোর ভাটা। এই ইট ভাটা গুলিতে প্রতিনিয়ত পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী চক্র অপরিপক্ষ (আন্ডার টু সাইজ) সেগুন কাঠ চিড়াই করে সেসব কাঠ দিয়ে লোভনীয় নকশার আসবাবপত্র তৈরী করে বৈধ-অবৈধ পন্থায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রেরণ করছে। এই সেগুন কাঠের তৈরী আসবাবপত্র ক্রয় করে মানুষও প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে জুম চাষের ফলে ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। অপরিকল্পিত ভাবে পাহাড় ও বন ধ্বংস করে লক্ষ-লক্ষ বাসগৃহ এবং স্থাপনা নির্মাণ। পাহাড়ের গায়ে আগুন না দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কেবলমাত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে জীব বৈচিত্র্য রক্ষার দায়-দায়িত্ব শেষ। বন ও পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে এবং পরিবেশ রক্ষায় মত প্রকাশ করলে স্বয়ং সরকারী প্রতিষ্ঠান বা তাদের এজেন্সীর লোকজন সেসব সংবাদপত্র বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে এমনকি তাদের বাসাবাড়িতেও হামলা করা নজির রয়েছে। কাগজে-কলমে নিয়ম রক্ষা করে, অনৈতিক ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ইচ্ছা মত জোত পারমিট প্রদান বা ইস্যু করায় এবং বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে শত বছর আগে গড়ে তোলা বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল (রিজার্ভ ফরেষ্ট) রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার আলিক্ষং উজার করা হয়েছে অদ্যবধি তার কোন প্রতিকার হয়নি। বেসরকারী এক সমীক্ষায় দেখা গেছে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা ভুমি ৩৩% (আনুমান), ঝিরি, ছড়া, নদী, হ্রদ ১৫% (অনুমান), চাষাবাদ যোগ্য ভুমি ১০% (অনুমান), আবাসনযোগ্য ভুমি ১০% (অনুমান), অশ্রেণীভুক্ত বনাঞ্চল বা ভুমি ৩২% (অনুমান) রয়েছে। কিন্তু এই তিন জেলায় গো-পথ, পায়ে হাটার রাস্তা, যানবাহন চলাচলের রাস্তা, আন্তজেলা রাস্তা, সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা ভুমি, ঝিরি, ছড়া, নদী, হ্রদ, চাষাবাদ যোগ্য ভুমি, আবাসনযোগ্য ভুমি অশ্রেণীভুক্ত বনাঞ্চল বা ভুমি জলে ভাসা জমি, বন্দোবোস্ত ব্যতীত সরকারী খাস জমি ও বন্দোবোস্ত প্রদানকৃত ভুমি কত শতাংশ রয়েছে এর সঠিক পরিসংখ্যান রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে নাই। পাহাড়ের সম্পদ কি রাষ্ট্রীয় সম্পদ নয়?! তাহলে সরকারের প্রতিষ্ঠানে বা সরকার দ্বারা নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সবের পরিসংখ্যান থাকা একান্ত বাঞ্চনীয়।
এসব বন বিভাগে তিন জেলায় ৫শত জনের মত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৫শত জনের মত কাঠ ব্যবসায়ী যোগসাজসে দেশের ১৬ কোটি মানুষের সম্পদ ভোগ করছে। এক কথায় দেশের সম্পদ, প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে জীব বৈচিত্র্য ও প্রাণী কুলের চলাচল সীমিত গেছে। এছাড়া কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়া, ভুমি ধ্বস, বন্যা, খড়া, ঘুর্ণিঝড়, অসময়ে বৃষ্টিপাত, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সরকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এ বিষয়ে উদাসীন ভুমিকা পালন করছে। সকল ধরনের বাণিজ্যিক কাঠের সকল পারমিট ইস্যু বা প্রদান বন্ধ রাখা, শুভংকরের ফাকি ; জোত পারমিটের সকল কাঠ আহরণ ও বহন বন্ধকরণ, পার্বত্য অঞ্চলে বনাঞ্চল পুনরায় ফিরিয়ে আনতে এ অঞ্চল থেকে তিন জেলার বাহিরে সেগুন কাঠসহ অন্যান্য বনজ কাঠ কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য দেশের অন্য জেলায় পাঠানো বা প্রেরন বন্ধ করা প্রয়োজন। সেই সাথে রাঙামটিতে পরিবেশ আদালত স্থাপন করা এখন সময়ের দাবী।
জোত পারমিট ও জ¦ালানী কাঠের পারমিট প্রদানে সরকারের ভুমিকাই বন উজারের মূল কারণ বলে পরিবেশবাদী বিশেষজ্ঞদের মতামত। যদি জোত পারমিট ও জ¦ালানী কাঠ বন্ধ রাখা হয় সরকার বা বন বিভাগ এবং ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা মোটেও নেই। এতে ন্যুনতম পাহাড়ের গায়ে প্রকৃতি পরিবেশ কিছুটা হলেও ফিরে আসবে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই বন উজার, বন ধ্বংস মোকাবিলা করা সম্ভব।
লেখক : বার্তা সম্পাদক
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম।