নিরাপত্তা বাহিনী যখন কোন অপরাধীর বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তখন তাকেই নিরিহ বা ছাত্র বলে প্রচার করা কেএনএফ’র কমনট্রেন্ড পরিণত হয়েছে। গত- ২৩/২০২৪ — বান্দরবানে সদর উপজেলা বম অধ্যুষিত এলাকা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে যৌথবাহিনী সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সরন পাড়া গ্রামে বম কথিত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে কেএনএফ কর্তৃক পরিচালিত নেটওয়ার্ক মাধ্যম থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছবি ব্যবহার করে প্রোপাগান্ডা রচিত করেছে। এটি কেএনএফ’র রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। সন্ত্রাস বিরোধী কার্যকর অভিযান বানচাল করতে তাদের একটি ষড়যন্ত্র।
বলেছিলাম, https://tinyurl.com/5wpddm8a লিংকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে একটি বিভ্রান্তিমূলক পোস্টের প্রেক্ষিতে। লিংক বলা হয়-
HUMAN RIGHTS VIOLATION:
13 years old school student was shot dead by Bangladesh Army nearby his village Saron para under Bandarban. He was first arrested, then asked him which school he reds in and then brutally killed him by Bangladesh Army.
যার বাংলা অনুবাদ হলো:
মানবাধিকার লঙ্ঘন:
বান্দরবানের সরন পাড়া গ্রামের কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৩ বছর বয়সী স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। প্রথমে তাকে গ্রেফতার করা হয়, তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে সে কোন স্কুলে পড়ে এবং তারপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েকদশকের উস্কানিমূলক প্রোপ্রাগান্ডার অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, পাহাড়ে যখন নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তখন কিছু সন্ত্রাসী আটক হয়। অনেক সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা বেশি। এসব ঘটনার মূল বিষয়বস্তু বা কেন্দ্রবিন্দু সন্ত্রাসীরা কখনো স্বীকার করেনা। নিজেরা নিজেদের অপকর্ম ও ব্যর্থতার দায়ভার সেনাবাহিনীর উপর আরোপিত চরিতার্থ করেন। সরন পাড়ার বন্দুকযুদ্ধে যুবক বা সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাকে (১৩) বছরের স্কুল ছাত্র বলে কেএনএফ এর পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে।
এতদাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ত থাকা সংগঠনগুলো তাদের কর্মী বাহিনীকে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান থেকে রক্ষা করতেই নিরিহ ও ছাত্র বলে প্রচার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে বৈধতা দিতে সর্বসময় তৎপর থাকেন। জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয় এমন তথ্য নেটওয়ার্ক মাধ্যমে ছড়ানো কেএনএফ’র রাজনৈতিক কৌশল। এই অপকৌশল মোকাবেলায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।