অপূর্ব সাচিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম:
পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধি মৃত আইন ১৯০০ মর্মে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের কার্য পরিচালনা করা হয়। শাসন বিধিমালার ৪৩ নং রুল অনুযায়ী রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার খাজনা আদায় করে থাকে সার্কেল চিফ। রাঙ্গামাটিতে দ্বায়িত্ব রয়েছে ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। বান্দরবানে বোমাং সার্কেল চিফ আর খাগড়াছড়িতে মং সার্কেল চিফ। এই চিফরা হেডম্যানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ থেকে কর আদায় করে থাকে।
হেডম্যানগণ ১ম ও ২য় শ্রেণীর জমির আদায়কৃত খাজনার কোন অংশ প্রাপ্য নয়। উক্ত টাকা নয় ছয়ে কিছু অংশ জমা হয় সরকারের কোষাগারে। সব অর্থ ভোগ করেন চিপগন। এরমধ্যে ৩য় শ্রেণী/ গ্রোভল্যান্ড জমি হতে আদায়কৃত কর থেকে সরকার পায় ২১% সার্কেল চিফ পান ৪২% হেডম্যান কারবারিরা পান ৩৭%।
জুম চাষের জন্য পরিবার প্রতি ৬/- টাকা হারে খাজনা দিতে হয়। জুম চাষ থেকে আদায়কৃত খাজনার মধ্যে ১.২৫/- টাকা হারে সরকারের পায়। বাকি টাকার মধ্যে সার্কেল চিফরা পান ২.৫০/- টাকা এবং সংশ্লিষ্ট মৌজা হেডম্যানগণ, কারবারিরা মিলে পান ২.২৫/- টাকা হারে। বড় একটি করের অংশ সার্কেল চীপরা পেয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় সবচেয়ে বেশি কর আদায় থাকে। কোটি কোটি টাকা কর আদায় করে দেবাশীষ সেগুলো দিয়ে কোন দৃশ্যমান কল্যাণমূলক কাজ করেন না। সেগুলোর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যবহার করে থাকেন। স্বজাতিদের কোন উন্নয়ন করতে তাকে দেখা যায় না। এইতো খাগড়াছড়ি বন্যায় স্বজাতি উপজাতিরা চরম দুঃখ দুর্দশার শিকার হয়েছে। বন্যার কবলে পড়ে হাজার হাজার পাহাড়ি পরিবার অসহায়ত্ব জীবন যাপন করছে। তারা তুলনামূলক ত্রাণ সহায়তায় পাচ্ছে না। ‘একজন চিফ সার্কেল কথিত রাজা’ হয়ে প্রজার দুঃখদুর্দশার সময়ে পাশে নেই। জাতির ক্রান্তিলগ্নে দেবাশীষ রায়কে কখনো পাশে পায়নি স্বজাতি। বিষয়টি দুঃখজনক নয় কী? অথচ সন্ত্রাসী দলগুলোর সাথে রয়েছে অর্থ সম্পদের মালিক দেবাশীষ রায়ের গভীর সম্পর্ক। তাদের অস্ত্র কিনতে বিশাল একটি অর্থ ব্যয় করে থাকেন তিনি। সন্ত্রাসীদের কূটনীতিক সহায়তা প্রদান করেন। এখানে শেষ নয় দেশের সাধারণ জনগণের করের টাকায় দীর্ঘদিন থেকে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে নেমেছেন দেবাশীষ গং।
স্বজাতি কর্তৃক বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে দেবাশীষ মায়ানমার বংশদ্ভূত মেয়ে ইয়েন ইয়েন কে বিয়ে করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নেমেছে এবং দেশের বাহিরে রাজ প্রসাদ গড়ে তুলেছে। অর্থ প্রচার করে বিশাল অট্টালিকা গড়ে তুলেছেন, মায়ানমার, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকাতে। দেশের জনগণ থেকে কোটি কোটি টাকা কর আদায় করে একজন লোক কিভাবে স্বজাতির ক্রান্তিলগ্নে পাশে থাকে না?
পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ অনেক বছর ধরে দেবাশীষ রায়ের শাসন-শোষণের শিকার। দেশে সংস্কার চলছে এখনই সময় দেশবিরোধী অপশক্তি দেবাশীষ গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।