গত ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১৭-১৮ জুলাই রাঙামাটি রাজবাড়ীর চাকমা সার্কেল অফিসে রাঙামাটি জেলাধীন সকল মৌজা প্রধান হেডম্যান-কার্বারীদের নিয়ে গোপন বৈঠকের আয়োজন করে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়! এতে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। প্রসঙ্গটি নতুন করে তুলে ধরার যৌক্তিক কারণ হলো রাজা দেবাশীষ রায় জুম্মল্যান্ডের স্বপ্ন নিয়ে সেনা-বাংগালীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে হটাতে ঘৃন্য মনোভাবাপন্ন বহন করে তৎপর। তার রাজাকার পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সেই ও তার পত্নী করে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। তার দ্বিতীয় পত্নী বামপাড়ার ব্যাক্তিদের নিয়ে গভীর সখ্যতা গড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র। কথিত মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়নমূলক সংস্থার আদলে রাণী ইয়ান ইয়ান রাখাইন রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতার সঙ্গে প্রত্যক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, পার্বত্যাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশাসন, সাংবাদিক ব্যতী রেখে গোপন বৈঠক করে চাকমা সার্কেল চীফ প্রকাশ কথিত রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়৷ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চাকমা সার্কেল চীফ জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি৷ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় তিনি রাঙামাটি জেলার চাকমা সার্কেল চীফ। এই সার্কেলের মৌজা প্রধান হেডম্যান-কার্বারীগণ জেলা প্রশাসক কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত৷ বিশেষ করে খাজনা আদায় তাদের মূল কাজ৷ কিন্তু অতি দুঃখজনক বিষয় যে, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সাংবাদিকদের না জানিয়ে রাজ দরবারে চাকমা কথিত রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় তার সার্কেলে নিয়োজিত হেডম্যান-কার্বারীগণদের নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র ও নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্য গোপন বৈঠকের আয়োজন করেন৷ উক্ত বৈঠকে রাজার একান্ত বিশেষ সহকারী সচিবকে পর্যন্ত প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি!! সন্দেহের উৎপত্তি এখানে ঘনীভূত হয়। এমনকি প্রশাসনের লোকজন বারবার প্রবেশে করতে চেষ্টা করলে তাদেরকে পর্যাপ্তবাধা দেওয়া হয়।
এতে জনমনে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে কথিত রাজা প্রশাসন-সাংবাদিককে ব্যতিরেখে পার্বত্যাঞ্চল বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের পরোক্ষভাবে সহযোগিতা দিতে গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সন্ত্রাসীদের কাজে সহযোগিতা করতে মৌজা প্রধান হেডম্যান-কার্বারীদের নানান ধরণের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমন তথ্যও পাওয়া যায় সূত্র মতে। এবং হেডম্যান-কার্বারীদের সু-সংগঠিত করতে দু’দিন ধরে গোপন বৈঠক চলে রাজ দরবারে। কথিত রাজার ঘনঘন বিদেশ সফরের উদ্দেশ্য কি? তিনি কি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশী রাষ্ট্রের সভা-সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেন? তবে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে কথিত রাজার পত্নী ইয়ান ইয়ান রাখাইনকে দেশ বিরোধী বক্তব্য দিতে এবং অহেতুক বিষয়বস্তু নিয়ে এ অঞ্চলের বাঙ্গালী ও অাইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রসব করতে! কথিত রাজার সাথে বিদেশী দ্বাতাসংস্থার গভীর সুসম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন সময় গোপন বৈঠকে মিলিত হয় রাজ দরবার সহ সাবারং হোটেলে। এসকল গোপন বৈঠকে প্রশাসনের প্রবেশে বরাবরই নিষিদ্ধ। ইউএনডিপি’র মতো আন্তর্জাতিক দ্বাতা সংস্থা এবং ডেনমার্ক কর্তৃক পরিচালিত একটি দ্বাতাসংস্থা দেবাশীষ রায়কে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করার কাজে উদ্ভুদ্ধ করে। ৭১ রাজাকার রাজা ত্রিদিব রায়ের পুত্র সন্তান ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বর্তমান চাকমা সার্কেলের ৫১ তম রাজা। রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড সহ একাধিক গোপন বৈঠকের পরেও রাঙামাটি জেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ! সরকারের উচিত স্থানীয় প্রশাসন রহস্যময়ভাবে নীরব কেন তা খতিয়ে বাহির করে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা বন্ধ করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যত সরকারকে বিপাকে পড়তে হবে রাষ্ট্রদ্রোহী দমনে।