লোগাং গণহত্যা নিয়ে বিশ্বদরবারে দেবাশীষ রায়ের নালিশের ডকুমেন্টারি জব্দ করে তৎকালীন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
লোগাং গণহত্যা পার্বত্য ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। ওই দিন ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তথাকথিত সংবাদমাধ্যম একপেশে সংবাদ প্রকাশ করে। বাংগালী-সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরীহ উপজাতিদের নির্মূল করার অভিযোগ আনা হয়! নির্লজ্জ মিথ্যাচার করা হয় সেনাবাহিনী বাংগালী নিয়ে। যদিও বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। লোহাং গণহত্যায় হাজারো বাংগালীকে চোরাগোপ্তা হামলা করে নিহত করে তথাকথিত শান্তিবাহিনী, অথাৎ বাসন্তি চাকমার প্রিয় ভাইয়েরা। বাংগালী গণহত্যার বিষয়টি চেপে যাওয়ার নির্লজ্জ অপচেষ্টা করা হয়েছিলো। ১৯৯২ সালে তাইওয়ান যাওয়ার সময়ে ‘হজরত শাহ জালাল বিমানবন্দর’ তৎকালীন নাম (জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির লোগাং-এ গত ১৯৯২-এর ১০ এপ্রিল সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভিডিও ক্যাসেট তৈরি, ছবি ও অনেক বিতর্কিত কাগজপত্র রাজা দেবাশীষ রায়ের নিকট হতে জব্দ করা হয়। দেবাশীষ রায় ১৯৯৮ সালে টংগ্যা নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন এমনকি ১৯৯৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে বাঙালি বিদ্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য এনজিওগুলোর সমন্বয়ে হিল ট্র্যাক্ট এনজিও ফোরাম (এইচটিএনএফ) নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন নিজ উদ্যােগে। চেয়ারম্যান ছিলেন দেবাশীষ রায় নিজেই। কথিত সংগঠনটির বাংগালী বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড এবং পাহাড়ে জাতিগত বৈষম্য তৈরিতে ভূমিকা রাখে বেপরোয়া ভাবে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরবর্তীতে দেবাশীষ রায় একই উদ্দেশ্যে এএলআরডি নামে এইচটিএনএফ’র সদস্যদের নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন। একইভাবে এইচটিএনএফ এর অন্তরালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এইচটিএনএন নামের
আরো একটি বিতর্কিত সংগঠন। অভিযোগ রয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর ২০০৫ সালে নির্মিত কর্ণফুলীর কান্না শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারীর পৃষ্ঠপোষক এবং ডকুমেন্টারীতে অন্যতম প্রবর্তককারী ছিলেন সেই। রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতার অংশ হিসেবে নির্মিত কর্ণফুলীর কান্না বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কথিত আছে পাকি রাজাকার ত্রিদিব রায়ের শেষ প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা অথবা নিজেরাই আলাদা হয়ে একটি রাষ্ট্র গঠন করে থাকার। তারই ধারাবাহিকতার অংশ বাস্তবায়ন করছে তারই কুখ্যাত পুত্র রাজা দেবাশীষ রায়।