অপুর্ব সাচিং, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক পার্বত্য চট্টগ্রাম: পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে সন্তু লারমাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি একটি বিতর্কিত এবং সংবেদনশীল বিষয়। সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) নেতা এবং পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতিদের অধিকারের নামে স্বায়ত্তশাসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্র সংঘাত এবং বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, এবং অনেক হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। যা অনেকের কাছে গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে, এই ধরনের দাবির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের সুনিশ্চিতকরণ, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ জরুরি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল গণহত্যার দায় সন্তুুলারমাকে নিতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাত ও সহিংসতার পটভূমি অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিভিন্ন জাতিগত, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যার ফসল। সন্তু লারমা এবং তার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) উপজাতি জনগোষ্ঠীকে বির্তক করে একটি স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে , যার ফলে সরকার এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের সংঘাতের প্রেক্ষিতে সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং গণহত্যার মতো অভিযোগ উঠেছে।
এ ক্ষেত্রে সন্তু লারমাকে গণহত্যার জন্য দায়ী করার যথার্থ প্রমাণ রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল সহিংসতার জন্য এদের ভূমিকা ও কার্যকলাপ বিচার করা প্রয়োজন। এই ধরনের অপরাধের জন্য ন্যায়বিচারের পথ নিশ্চিত করতে হলে নিরপেক্ষ তদন্ত, প্রমাণ সংগ্রহ, এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে করা প্রয়োজন এবং এটিই সমাধান হতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে করার দাবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যথাযথ প্রক্রিয়া । আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল সাধারণত সেই ধরনের অপরাধের বিচার করে যেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, বা গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে এবং যখন একটি দেশের নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়। তখন অনেক অপরাধীর জন্ম হয়। যা পার্বত্য অঞ্চলে দৃশ্যমান।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাত এবং সহিংসতাগুলোর বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার স্বীকৃতি ও বিচারের জন্য নিরপেক্ষ প্রমাণ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উত্থাপন করা হয়, তবে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
তবে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন বা সেখানে মামলা উঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার, ও ভুক্তভোগী জনসাধারণ কে বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। নিরীহ জনগণ ও নিরাপত্তা দায়িত্বরত দেশ প্রেমি সেনা সদস্য হত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার কার্য সম্পাদন করতে সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি