কাউখালীতে ইউপিডিএফ-এর ২২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক পোস্টারিং করা হয়েছে।

0
81

||হৃদয় হাসান||

রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বড়ডুলুপাড়া, পচুপাড়া, ডাবুয়া, লামারপাড়া, ধূপছড়িপাড়া, পানছড়ি, তালুকদারপাড়া, উল্টাপাড়া, হাজাছড়ি, মোবাছড়ি, শুকনাছড়ি, মইনপাড়া, লেবারপাড়া, নিজপাড়া, চেলাচড়া সহ ইউপিডিএফ মূলদলের নিয়ন্ত্রিত
উপজাতি অধ্যুষিত পাড়াসমূহে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পোস্টারিং করেছে। ২৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে উল্লেখিত পাড়া গুলোতে পোস্টারিং করা হয়।

কাউখালী উপজেলা ইউপিডিএফ মূলদলের পরিচালক কার্তিক চাকমা (৫০) এর নেতৃত্বে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের সহযোগিতায় পোস্টার লাগানো হয়। স্ব স্ব পাড়ার চাঁদা সংগ্রাহক৷ কালেক্টর এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের মেয়েদের দিয়ে
মোটরসাইকেল যোগে জনসমাগম হয় এমন স্থানে। রাস্তার পাশে দোকান এবং পিলারে পোস্টার লাগানো হয়। পোস্টারে লেখা রয়েছে ০১.পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ছাড়া বিরতি নয়।
০২. পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনই পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র সমাধান।

২৬ ডিসেম্বর ইউপিডিএফ-এর ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে তিন পার্বত্য জেলা৷ এ উপলক্ষে নানান কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে।

ইউপিডিএফ-এর সংগঠকরা অস্থায়ী শহীদ স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, কেক কাটা, বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করার পর একে একে শহীদ পরিবারবর্গ, অগ্রণী শিশু-কিশোর সংগঠন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতৃবৃদ শহীদ স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন বলে জানা যায়। পরে শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নিরীবতা পালন করবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী, শিশু-কিশোর, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করে বলে জানা যায়। এই উপলক্ষে ইউপিডিএফ প্রসার প্রচারণায় ব্যস্ত। হেডম্যান কার্বারী সহ মেম্বার, চেয়ারম্যানদের ২২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা ইতিমধ্যে দিয়েছে বলে জানা যায়৷

উল্লেখ যে, ১৯৯৭ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধিতা করে প্রসিত বিকাশ খিসার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ সশস্ত্র যাত্রা শুরু করে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার দাবি রেখে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here