বাঙ্গালী গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম।

0
152

||প্রেস বিজ্ঞপ্তি||

১৭-০৯-২০১৮ ইং তারিখে রোজ সোমবার খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাঙা উপজেলার বাঙালি গৃহবধূ পারুল আক্তারকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে উপজাতীয় যুবক সুমন ত্রিপুরা(৩২)। উপস্থিত জনতার ভাষ্যমতে জানা যায় যে, পারুল আক্তার ও ধর্ষক সমুন ত্রিপুরার মাটিরাঙার ইসলামিয়া হোটেলে আয়া ও হোসেল বয় হিসেবে কাজ করতো। ঘটনার দিন সুমন হোটেল ত্রিপুরার বাসায় তাকে ডাকতে গেলে পারুল আক্তার কে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় মামলা না করার জন্য উপজাতিয় প্রভাব শালী নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে প্রাণ নাশ সহ এলাকা ছাড়া করার হুমকী প্রদান করছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে  স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্ঠা চলতে। উপরোক্ত নারী নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি ছাত্র পরিষদ, কেন্দ্রীয় সংসদ।

পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি  মো: মাঈন উদ্দীন , নিবার্হী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর এস এম মাসুম রানা যৌথ বিবৃতি তে বলেন যে- একের একর এক উপজাতিয় যুবক কর্তৃক নারী নির্যাতনের ঘটনা ই প্রমান করে পাহাড়ের নারীদের নির্যাতনের ঘটনা গুলোর পিছনে বিশেষ উদ্দেশ্য জড়িত। উপজাতীয় কর্তৃক বাঙালি নারীদের ধারাবাহিক  ধর্ষণের অন্যতম কারন হলো ইতিপূর্বে সংঘঠিত নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের বিচার না হওয়া।  উপজাতীয় যুবক কর্তৃক পাহাড়ি ও বাঙালি দুই সম্প্রদায়ের নারীদের নির্যাতন,ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে প্রমান হয় পাহাড়ের একটি বিশেষ গোষ্টি সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প সৃষ্টি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করে গোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। গত ১৪/০৯/১৮ ইং তারিখে প্রতিবন্ধি লালবানু কে ধর্ষণ চেষ্টা ও মারধর করার জেলার সদরের দাতকুপিয়া এলাকার সুধাংসু চাকমা। এই ঘটনায় ও বাঙালিদের উত্তেজিত করার চেষ্টা বিদ্যমান ছিলো। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আলোচিত  ৯ বছরের শিশু পুনাতি ত্রিপুরা(কৃত্তিকা) কে ধর্ষণ পূর্বক হত্যা করে জেএস এস সন্ত্রাসী শান্ত ত্রিপুরা আর দোষ চাপানো হয় বাঙালি যুবকদের ঘাড়ে। যেমনী করে দোষ চাপানো হয়েছিল ফেব্রুয়ারী’২০১৭ সালের ইতি চাকমার হত্যাকান্ডে। অথচ প্রত্যেক টি ঘটনার মূল আসামী ধরা পড়েছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। তারা আরো বলেন যে, এই সকল ঘটনার পূনরাবৃত্তি ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারহীনতা ই দায়ী। তাই পাহাড়ের পরিবেশ কে শান্ত রাখতে নারী নির্যাতন কারী যেই তাকে তাকে সাম্প্রদায় ভিত্তিক বিবেচনায় না নিয়ে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দেওয়ার আহবান জানানো হয়।

অবিলম্বে ধর্ষক ও নারী নির্যাতন কারী সুমন ত্রিপুরা কে  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা গ্রহন করে কঠোর শাস্তি বিধানের দাবী জানান। অতিতের মত আইগত দূর্বলতার সুযোগ দিয়ে ধর্ষক সুমন ত্রিপুরাকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে  পার্বত্য অধিকার ফোরাম কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করবে।                                                                                 বিনীত নিবেদক

মো: পারভেজ আলম

জেলা সদস্য সচিব

০১৮৩৪৬৮৪৭২৯/০১৫৫৬৫৯৪৮৭১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here