ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত করতে সন্ত্রাসীরা সাধারণ ম্রোদের মাঠে নামিয়েছে!

0
68

||জিহান মোবারক,পার্বত্য চট্টগ্রাম||

৭-ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিঃ সকালে বান্দরবান সদর মুখে কয়েকশো ম্রো উপজাতি নিজেদের ভূমিতে পর্যটন ও হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে লংমার্চ করে! বিভিন্ন ব্যানার পেস্টুনে জীবন, জীবিকার নিরাপত্তা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার তাগিদ দিয়েছে তারা। অথচ তারাই ধর্মীও প্রতিষ্ঠানের নামে শতশত একর ভূমি দখল করে! চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগির জন্য একে অপরকে গুলি করে, এমনকি জুম চাষের নামে যখন পাহাড় নেড়া করে তখন তাদের জীবন, জীবিকা নিরাপত্তা কথা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার তাগিদের কথা মনে থাকেনা! দীর্ঘ তিন মাস যে চিম্বুক পাহাড় নিয়ে তারা আন্দোলন করে তা কোন কালেও তাদের মালিকানাধীন ভূমি ছিলো না। বৈধ কাগজপত্রও নেই তাদের। প্রথাগত নিয়মের দোহাই দিয়ে সমগ্র পাহাড় তাদের সম্পত্তি দাবি করা যেমন হাস্যকর, ‘তেমনই মগের মুল্লুকও বটে।’

বাস্তবতা বলতে গেলে চিম্বুক পাহাড়ে কোন প্রকার ম্রোদের বসবাস নেই। আর যে স্থানে পর্যটন হোটেল মোটেলের কাজ চলমান সে স্থানের ভূমির প্রকৃত মালিকও ম্রোরা নয়। উক্ত ভূমি খাস, শিকদার গ্রুপ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্ত মেনে পার্বত্য জেলা পরিষদ হতে ৪০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে ভূমিটি। যেটা পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গত বছরের ২২ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিশ্চিত করে৷

উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জেএসএস সহজসরল ম্রোদের উস্কানি দিয়ে তাদের ভূমি দখল হচ্ছে বলে উদ্দেশ প্রণোদীতভাবে ম্রোদের মাঠে নামিয়েছে! এটা খুবই দুঃখজনক। সন্ত্রাসীরা ম্রোদের বলির পাঠা বানানোর মূল কারণ, পাহাড়ে উন্নয়ন ও পর্যটন শিল্প গড়ে উঠলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি করতে পারবে না। তাই পর্যটন শিল্প বিকাশের বিরোধিতা করে পার্বত্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী৷

সরকারের নিকট পার্বত্যবাসীর একটি অন্যতম দাবি, সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে সন্ত্রাস মুক্ত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করে চিরুনী অভিযান পরিচালনা পূর্বক অবৈধ অস্ত্রধারীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হোক। এতে সাধারণ উপজাতি বাঙ্গালী উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষদের কল্যাণ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here