গাঁজার চাষ করাই বর্মাছড়িতে র‌্যাব কর্তৃক কথিত সহজসরল চাকমা উপজাতিকে আটক।

0
65

||জামাল হোসেন ভুঁইয়া, কাউখালী||

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ২নং ফটিকছড়ি ইউনিয়নের বর্মাছড়ি বাজার এলাকা থেকে র‌্যাব-৭ এর একটি দল গতকাল মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১) সকালে ডালিম চাকমা (৪০) কে গাঁজা চাষ করার কারণে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করে। তখন তার নিকট থেকে ২০.৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আটক ডালিম চাকমা ফটিকছড়ি ইউপি’র বর্মাছড়ি মুখ পাড়ার বাসিন্দা মন মোহন চাকমার ছেলে। তিনি বর্মাছড়ি বাজারের একটি সমিলের মালিক। জানা যায়, তার সমিলের লাইসেন্সও নেই৷ দীর্ঘদিন হতে সে গাঁজা চাষ, গাঁজা পাচার সহ নানান অপরাধে জড়িত।

আটকের পর তাকে সারাদিন র‌্যাবের হেফাজতে রাখার পর দিবাগত রাত ১২টার দিকে কাউখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে ’গাঁজা চাষ’ করার অভিযোগ করে এবং গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০.৫ কেজি গাঁজা ৩ লাখ লক্ষ টাকা মূল হবে বলে স্বীকার করে আটকের বিষয় এবং মামলার বিষয়টি কাউখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শহীদ উল্লাহ (পিপিএম) সতত্যা নিশ্চিত করেন।

যারা বলেন, উপজাতিরা বৈচিত্র্যময়, ভাষা ও সংস্কৃতি মনা তারা কি বলবেন এখন? তাদের কথা অনুযায়ী উপজাতিরা তুলসীপাতা। পাহাড়ে সব দোষ শুধু বাঙ্গালীর আর সেনাবাহিনীর। অথচ এ সহজসরল উপজাতিরাই অবৈধ গাঁজা চাষ, পপি চাষ, চোলাই মদ ও নানান নেশা জাতীয় দ্রব্য তৈরি করে থাকে৷ ভালো খারাপ সব জাতির মধ্যে থাকে, উপজাতিদের মধ্যে যেমন ভালো মানুষ রয়েছে, ‘তেমনি বাঙ্গালীদের মধ্যেও ভালো মানুষ রয়েছে৷’ প্রেক্ষাপট ও চরম বাস্তবতা না জেনে যারা পাহাড়ের সবকিছুর জন্য বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে দায়ী করে তাদের একটু করে “গাঁজা, পপি ও চোলাই মদ তৈরি করা ব্যক্তিদের সম্পর্কেও টুকিটাকি খবর নেওয়া উচিত বলে মনে করি৷”

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত বছর গুলোতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ক্ষেত ও পপি ক্ষেত সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করেছে। যার মূল ছিলো কয়েকশো কোটি টাকা। সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, গাঁজা চাষ ও পপি চাষ, চোলাই মদ তৈরি সহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য ব্যবসা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি মজবুত করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here