পাহাড়ের কান্না দেখার কেউ নেই!!

0
210

|তাপস কুমার পাল, রাঙ্গামাটি|

পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বজন হারা মানুষের আর্তনাদকারী এক নিষ্ঠুর জনপদ। দেশদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীদের নির্মম হত্যাযজ্ঞে পাহাড়ের জনজীবন অতিষ্ঠ। নির্মমতার সর্বোচ্চ পথ অতিক্রম করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ণে অনেকটা বাধাহীন চিত্তে এগিয়ে যাচ্ছে।
পাহাড়ের ইতিহাসে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত বনী আদমের সংখ্যা নির্ধারণ করা অসম্ভব।
কোন পরিবারে এক জন, কোন পরিবারে দুই জন এবং অনেক পরিবারের সকল সদস্যরাই সন্ত্রাসীদের পৈশাচিক নির্যাতনে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়ে স্রস্টার স্বান্নিধ্যে চলে যান।


কথিত জুম্মল্যান্ডের স্বপ্নদ্রষ্টাদের হাতে রেহাই পাচ্ছেনা বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে তাদের স্বজাতীয় ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্টীরাও।
দুর্গম পাহাড়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলোও সন্ত্রাসীদের আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষা পায়না।
হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে একছড়ি কলা বিক্রি করলেও সন্ত্রাসীদেরকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দানে বাধ্য থাকতে হয় চাষীদের।
কোন কারণে চাঁদা দিতে না পারলে সহ্য করতে হবে যে কোন শাস্তি।

উপজাতি সন্ত্রাসীদের পাশবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে স্বজন হারা ও সর্বস্বহারা পাহাড়বাসীর অশ্রুসিক্ত নয়নের আর্তনাদ কি রাষ্ট্রের নির্বাহকদের কর্ণকুহরে পৌছাচ্ছে??? মনে হয়না।
আর কত দিন পাহাড়ের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগবে?
আর কত দিন মুন্সী আব্দুর রউফের রক্তে রঞ্জিত এই পবিত্র ভূমিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা রক্তের হোলি খেলবে????
কখন পাহাড়ের মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাবে??
অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই স্বজন হারা কষ্টের বিষয় আপনি বুঝেন।
আপনি অন্যায়কেও প্রশ্রয় দেন না।
সন্ত্রাসীদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আপন গতিতে চলার মত হিম্মত আপনার আছে।
আপনার প্রতি পাহাড়ের মানুষের দাবী, পাহাড়কে অতিশীঘ্রই নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করুন।
সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ তাণ্ডব থেকে আপনি যদি পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুক্তির বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেন তাহলে পাহাড়বাসী আপনাকে আজীবন স্বরণ করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here