বাঙ্গালি কর্তৃক উপজাতি নারী ধর্ষিত হলে বাঙ্গালির চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়…!

0
134

||জিহান মোবারক, বান্দরবান||

উপজাতি কর্তৃক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ, শুকর দিয়ে ঘটনা দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা! প্রতিবেদনে এই নিয়ে থাকছে বিশদভাবে ব্যাখা। বাঙ্গালি কর্তৃক উপজাতি নারী ধর্ষিত হলে বাঙ্গালির চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়! অথচ উপজাতি কর্তৃক ধর্ষিত হলে শুকর দিয়ে মিমাংসা! 

পার্বত্য বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বজাতির বিরুদ্ধে। আর এই বিষয়ে জড়িত  থাকার কারণে হ্লাথুই প্রু খিয়াং (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার(১৮ মার্চ) রাতে রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মো. তৌহিদ কবিরের নেতৃত্বে একটি দল উপজেলার ক্যপ্লাং পাড়ায় অভিযান চালিয়ে হ্লাথুই প্রু খিয়াংকে আটক করে ।

ভিকটিমের মামা সাজাইহ্লা খিয়াং ও স্থানীয়রা বলেন, চলতি মাসের ১ তারিখে হাট বাজার দিন হওয়াতে ভিকটিমের মা বাজার করতে গেলে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ভিকটিমের মামা বলেন, ধর্ষণের পর ঘটনা জানা জানি হলে পাড়ার নিয়ম অনুযায়ি শুকর দিয়ে ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নাম মাত্র মিমাংসা করে অপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়। উপজাতি সমাজে ধর্ষণের শাস্তি স্বরূপ শুকর বলি দেওয়া হয়। আর এই শুকরের রক্ত দিয়ে মেয়েকে গোসল করানো হয়! এবং পাড়া বাসীকে শুকরের মাংস খাইয়ে পাপ মুক্ত করা হয়। সভ্যতার ছোঁয়ার আধুনিক যোগে প্রথাগত এই নিয়ম এখনো বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সমাজে বিদ্যমান! 

আরও জানা গেছে, প্রায় ১৫ দিন পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা নেওয়ার পর ভালো না হওয়ায় গত ১৬ মার্চ বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে কিশোরী মেয়েটি বান্দরবান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ শহীদ তৌহিদ কবীর বলেন, ধর্ষণের অভিযুক্ত হ্লাথুই প্রু খিয়াংকে আটক করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালি কর্তৃক উপজাতি নারী ধর্ষিত হলে বামপাড়া ও রামপাড়া পাহাড়ের বাঙ্গালিকে হেয় প্রতিপন্ন সহ বাঙ্গালির জন্ম নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলে! অথচ আজ তারা রহস্যজনক ভাবে নিশ্চুপ বান্দরবানে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ বিষয়ে। এ হচ্ছে চরম বাস্তবতা!

এদেশের তথাকথিত গণমাধ্যম গুলো পাহাড়ে সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালির চুল পরিমাণ দোষ খুঁজে পেলে বাঙ্গালির চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে। অথচ আজ তারাই মুখে কুলুপ এঁটেছেন! 

পার্বত্য চট্টগ্রামে যুগের পর যুগ ধরে উপজাতি নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছে উপজাতীয় পুরুষদের একটি অংশ। এ নিয়ে কেহই কথা বলেন না! দুঃখজনক যে, তথাকথিত মানবতার দাবিদারদের মাঝেমধ্যে পাহাড় নিয়ে দরদ উৎরাই পরে!

এদেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সুশীল, বিশিষ্ট কলামিস্ট, লেখক, গবেষণা, সাংবাদিক ও  মানবাধিকার নামধারী কতিপয় সংস্থা গুলো সবসময় দাবি করে উপজাতীয়রা শান্তিপ্রিয়। তাদের দাবি ধর্ষণ কি তাও জানেন না উপজাতিরা! উপজাতি ভাষায় ধর্ষণ শব্দের প্রতি শব্দ নেই। গত ২০২০ -এর ডিসেম্বর মাসে প্রথম আলো পত্রিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের কলাম দেখলাম এধরণের বিষয়ে! দালাল চাটুকার এই কলামিস্ট কে আজ বলতে চাই তোমার গর্বের যে উপজাতিরা ধর্ষণ শব্দ কি জানে না বুজে না সে উপজাতিরা কিভাবে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করল? 

তথাকথিত নারী নেত্রী গুলো কোথায়? যারা পাহাড়ে  বাঙ্গালি কর্তৃক নারী ধর্ষিত হলে সবসময় চুলছেঁড়া  বিশ্লেষণ করে তারা কেন আজ নীরব? তারা বা কেমন নারীবাদী? এই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে গেল!

উপজাতি সমাজ ব্যবস্থা যদি ধর্ষণের শাস্তি স্বরূপ শুকর বলি দিয়ে ধর্ষণের মত জঘন্য ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারে তাহলে বাঙ্গালি লাভ জিহাদ করে বিবাহ করলে আপত্তি কেন? আর বা কেন বাঙ্গালি ধর্ষণ করলে তার শাস্তি দাবি না করে সমগ্র বাঙ্গালি জাতিকে ধর্ষক তকমা দেওয়া হয়? এ জবাব কে দিবে? গত বছর যখন খাগড়াছড়ি প্রতিবন্ধী উপজাতি নারী বাঙ্গালি কর্তৃক ধর্ষণ শিকারের অভিযোগ উঠেছিল তখন সারাদেশে মানুষ এক সাথে আওয়াজ দিয়েছিল পাহাড়ের বাঙ্গালির চরিত্র নিয়ে। আজ তারা বান্দরবান রোয়াংছড়ির প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ নিয়ে কেন নিশ্চুপ? নাকি উপজাতি ধর্ষণ করলে মহাভারত অসুদ্ধ হয় না, শুধুমাত্র বাঙ্গালি ধর্ষণ করলে মহাভারত অসুদ্ধ হয়?

উপজাতিদের অধিকারের দোহাই দিয়ে গর্জে ওঠা চাঁদাবাজ ও অস্ত্রবাজ জেএসএস-ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগী অঙ্গসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বিবৃতি এখন কোথায়? এখন কেন উপজাতি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ ইস্যুতে তারা নীরব ভূমিকায়? তারা কি মূলত জাতির অধিকারের জন্য আন্দোলন করে নাকি একের পর এক পাহাড়ে ইস্যু সৃষ্টি করে ফায়দা লুটিয়ে নেয়? বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় স্পষ্ট যে,  জেএসএস-ইউপিডিএফ কোনভাবেই জাতির অধিকার আদায়ে কাজ করে না। বরং তারা জাতিকে বিক্রি করে খায় এবং চাঁদাবাজি অস্ত্রবাজি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করে ফায়দা লুটিয়ে নেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here