নিজেস্ব প্রতিনিধি
-
ছবি: সংগৃহীত
তথাকথিত শান্তিবাহিনীর হাতে এই দিনে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ রশিদ সরকার।
১৯৮৯ সালের ৪ মে আজকের এই দিনে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তৎকালীন জনপ্রিয় বাঙালী নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার। তিনি রাঙামাটি লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তৎকালীন দেশদ্রোহী সন্তু গংদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর সন্ত্রাসীরা এই বাঙালী নেতাকে হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সরকার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তথাকথিত শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়। পার্বত্য চুক্তির অসাংবিধানিক বিতর্কিত ধারার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩৫ হাজার বাঙালী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা দায়মুক্তি পেয়ে যায়৷ আর এদিকে পার্বত্য বাঙালীরা স্বজন হারানোর শোকে কাতর।
দুঃখজনক য, উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাঙালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দামাচাপা দিতে তৎকালীন থেকে সেনাবাহিনী ও বাঙালীদের উপর মিথ্যাচার করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী কর্তৃক পরিচালিত #chtnews দাবি করে আসছে “১৯৮৯ সালে আজকের এই দিনে রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় আর্মি ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সহায়তায় সেটলার বাঙালিরা পাহাড়ি অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে পরিকল্পিতভাবে এ গণহত্যা চালায়। এতে বহু পাহাড়ি হতাহত হয়। সেটলাররা পাহাড়িদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, বৌদ্ধ মন্দির ও বুদ্ধ মুর্তি ধ্বংস করে। কিন্তু আজও এই গণহত্যার কোন বিচার হয়নি।”
অথচ বাঙালী নেতা ও বাঙ্গালী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে দামাচাপা দিতে সন্ত্রাসীরা নির্লজ্জ মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহণ করে!