সন্ত্রাসী সংগঠন কীভাবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে তা আমার বোধগম্য নয়।

0
32

লেখক: হিল ব্লগার, আহসান হাবীব জিতু

একটি দেশ বিরোধী সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন কীভাবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে তা আমার বোধগম্য নয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) জন্মলগ্ন থেকে পাহাড় নিয়ে চরম মিথ্যাচার করে আসছে। খুনাখুনি, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার হাজারো প্রমাণ থাকার স্বত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোন এক অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় পিসিপি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বাঙালিকে হেয় প্রতিপন্ন করে স্লোগান দিয়েছে। অথচ আজ তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দুঃখ হয়!
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, এটি নামেমাত্র ছাত্র সংগঠন! কার্যত এটি অছাত্র সংগঠন৷ বিবাহিত, এবং অছাত্র ভরা সংগঠন মূলত এটি।
অবৈধ অস্ত্রধারী, কঠোর বাঙালি বিদ্বেষী ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা উগ্রবাদীদের নিয়ে তথাকথিত এই পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়।
উপজাতি নারীদের গণধর্ষণও এ পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ করে থাকে। পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এ সংগঠন। চাঁদাবাজ কনেন্টু চাকমা ও ধর্ষক সজিব ত্রিপুরার ইতিহাস তো অনেকেরই জানা। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) একটি চাঁদাবাজ, ধর্ষক, সন্ত্রাসী ও রাস্ট্র বিরোধী সংগঠন৷ এই সংগঠনের কোনপ্রকার কার্যক্রম বাংলার মাটিতে চলতে দেওয়া যায় না। আজকে তারা যেভাবে ৩২- তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে মনে হচ্ছে এদেশের সকল ক্ষমতার মালিক তারা৷ সরকারি স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তারা ব্যবহার করছে তাদের সাংগঠনিক কাজে। তাদের এতোক্ষমতার দাপট!

ইউপিডিএফ ও জেএসএস হচ্ছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অভিভাবক সংগঠন। এই থেকে তো অনুমান করা যায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কোনভাবেই বাঙালি ও রাস্ট্রের পক্ষে নয়।
বিচ্ছিন্নতাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ-এর সভাপতি প্রসিত বিকাশ খিসা একসময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। প্রসিত বিকাশ খিসা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। সুতরাং যারা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে ভালো মনে করে, বুঝে নিতে হবে তাদের বিবেক বুদ্ধি পঁচে গেছে।

(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here