হলুদ সাংবাদিকতার যাঁতাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম।

0
61

তাপস কুমার পাল, রাঙামাটি

সাংবাদিকতায় ইয়েলো জার্নালিজম বা হলুদ সাংবাদিকতা শব্দটি এসেছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। দুই ভুবন বিখ্যাত সাংবাদিক জোসেফ পুলিৎজার ও উইলিয়াম হার্স্টের এক অশুভ প্রতিযোগিতার ফসল আজকের এই ‘হলুদ সাংবাদিকতা’।
জোসেফ পুলিৎজার ও উইলিয়াম হার্স্ট প্রতিযোগিতামূলক তাদের পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ভিক্তিহীন খবর রসালো ভাবে উপস্থাপন করতো।ভাষার লালিত্য এবং প্রকাশভঙ্গীর মাধ্যমে পাঠকগণকে তা অবলীলায় বিশ্বাস করাতে তারা স্বক্ষম হয়েছেন।
আজকের পার্বত্য চট্টগ্রামও হলুদ সাংবাদিকতার যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। কিছু ইলেকট্রিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া উপজাতিদের থেকে এবং আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা থেকে উচ্ছিষ্ট লেহন করে অনবরত পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে মিথ্যা গল্প বানিয়ে দেশবাসী এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে মিথ্যা এবং ভিক্তিহীন খবর প্রকাশ করছে।
উপজাতিদের উচ্ছিষ্টভোগী এ সমস্থ হলুদ সাংবাদিকদের কমন কাজ গুলো হচ্ছে, উপজাতিদেরকে আদিবাসী হিসেবে প্রমান করার জোড়ালো চেষ্টা করা।
পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের সকল অপকর্ম সেনাবাহিনী উপর চাপিয়ে দেয়ার সার্বোচ্ছ প্রচেষ্টা চালানো।
পাহাড়ের উপজাতি এবং বাঙালিদের মধ্যে বিবেধ জিইয়ে রাখার জন্য সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো।

পাহাড়ের যে কোন বিষয়ে বাহান্ন শতাংশ বাঙালিদের ইগনোর করে পাহাড়কে ঊপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল প্রমাণ করার চেষ্টা করা।
বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা, কর্মসংস্থানে যদিও বাঙালিরা অনেক পিছিয়ে, তারপরও উপজাতিদেরকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে প্রমাণ করা।

হলুদ সাংবাদিকতার এরুপ অপপ্রচারের বোঝা বহন করেও পার্বত্য চট্টগ্রাম হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে হলুদ সাংবাদিকদের পাহাড় সম্পর্কে চলমান অপপ্রচার যদি অব্যাহত থাকে তাহলে যেকোনো মুহুর্ত ঝুকির সম্মুখীন হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এবং দেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্নত রাখতে হলুদ সাংবাদিকদের প্রতি সরকারকে যাথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here