রোয়াংছড়িতে উপজাতি অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে স্বজাতি প্রদীপ কুমার চাকমা!

0
28

||জিহান মোবারক, পার্বত্য চট্টগ্রাম||

স্বজাতি কর্তৃক ধর্ষিত হওয়ার কারণে এই ধর্ষণ বিষয়ে সবাই রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ! যদি বাঙ্গালী কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা ঘটতো তাহলে এতোক্ষণে বাঙ্গালীর চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়তো। ইতিহাস কিন্তু তাই বলে…

গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে উপজাতি কিশোরীর বাবা ওই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে গত রবিবার বিকেলের দিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে উপজেলার ব্র্যাক ম্যানেজার প্রদীপ কুমার চাকমা ওই স্বজাতি কিশোরী ছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে ওই কিশোরী ছাত্রী বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক পুরো বিষয়টি কিশোরী ছাত্রীর অভিভাবককে জানান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রদীপ কুমার চাকমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা চিকন চান কার্বারি পাড়া বাসিন্দা সুজয় চাকমার ছেলে প্রদীপ কুমার চাকমা। সেই একজন নরপশু ও ভয়ংকর ধর্ষক। এমনটা জানিয়েছে তার এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছেন, উপজাতি মেয়ে বাঙ্গালী ছেলে কর্তৃক ধর্ষিত হলে তথাকথিত সুশীল, গণমাধ্যম, নারীবাদী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো সরগরম করতো। কিন্তু এই ধর্ষন ঘটনাটি স্বজাতি কর্তৃক ঘটেছে যার কারণে সবাই রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ।

প্রায়শই দেখা যায়, পাহাড়ে বাঙ্গালী পুরুষ কর্তৃক উপজাতি নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে কিংবা কথিত ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন নামে (সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার সহযোগী সংগঠন) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তোলার পাশাপাশি রাজপথ কাঁপিয়ে থাকে৷ অথচ আজ তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে।

রোয়াংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদ কবির বলেন, কিশোরী ছাত্রীর অভিভাবক থানায় এসে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে প্রদীপ কুমার পলাতক আছেন।

ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানতে প্রদীপ কুমারের নাম্বারে কল দিলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here