কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমা আত্মতহত্যা করেনি, তাকে জেএসএস নেতা ধর্ষণপূর্বক হত্যা করে।

0
146

|মোবারক হোসেন, রাঙ্গামাটি|

গতকাল (শুক্রবার) ২৯ অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দে রাঙামাটিতে ১৯ বয়স বয়সী পূর্ণিমা চাকমা নামে এক কলেজছাত্রী স্বজাতি কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। যদিও পূর্ণিমা চাকমা যে, বাসায় ভাড়ায় ছিলেন সে বাসার মালিকের দাবি সেই আত্মতহত্যা করে মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু পরিবারের দাবি পূর্ণিমা চাকমা আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমা জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নং দুমদুম্য ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বগাহালি এলাকার সাধন চাকমার মেয়ে। সে রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

সূত্রে আরো জানা যায়, পূর্ণিমা চাকমা রাঙামাটি শহরে রাজবাড়ি এলাকায় এক প্রভাবশালী জেএসএস সন্তু গ্রুপের নেতার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি যে বাসায় ভাড়া থাকেন সেই বাড়ি মালিক জেএসএস সন্তু গ্রুপের নেতা বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বাসার মালিক কৃর্তক বারবার যৌন হয়রানি হয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ঐ বাসার মালিক আত্মগোপেন রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
পূর্ণিমা চাকমাকে যৌন হয়রানি ও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। পূর্ণিমা চাকমা ধর্ষণের কথা প্রকাশ করে দিবে এইভেবে তাকে হত্যা করে তার লাশ ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে ঘটনার দামাচাপা দিতে আবার চিকিৎসার জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালেও নিয়ে যায়। যা থেকে সবাই ভাববে পূর্ণিমা চাকমা আত্মতহত্যা করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়।

এদিকে রাঙামাটি সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক(আরএমও) বলেন, বর্তমানে কলেজছাত্রীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত আগামীকাল করা হবে।

পূর্ণিমা চাকমার লাশের সঠিক ময়নাতদন্ত করে, সত্য ঘটনা উন্মোচন করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। সে সাথে বাসার মালিক ধর্ষক ও হত্যাকারী জড়িত জেএসএস সন্তু সন্ত্রাসীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here