সর্বদিক দিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের দমিয়ে রাখা হয়েছে।

0
46

মোবারক হোসেন, খাগড়াছড়ি

যারা রাস্ট্র ও পার্বত্য বাঙ্গালীর পক্ষে কথা বলেন, তাদের উপজাতি সন্ত্রাসীও তাদের নেতা, এবং প্রশাসন বিভিন্নভাবে কোণঠাসা করে রেখেছে। এযাবৎকালে যেসমস্ত বাঙ্গালী প্রেমি পাহাড় নিয়ে কাজ করেছে তাদের কারো পক্ষে রাস্ট্র প্রশাসন সহায়ক হয়নি। বরং রাস্ট প্রশাসন পার্বত্য বাঙ্গালী প্রেমিদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য যত ঘৃণিত আয়োজন ছিল সব করেছে। এই জন্য দায়ী রাস্ট্র প্রশাসনের কতিপয় কর্তা। একঘেয়েমি আচরণ, চেয়ারের অপব্যবহার ও নিজেকে জাহির করার প্রবণতা কতিপয় কর্মকর্তারা পার্বত্য বাঙ্গালীদের মানুষ মনে করেন না। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে রাস্ট্রের যুগোপযোগী নীতি না থাকায় পার্বত্য বাঙ্গালীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে প্রশাসনের কতিপয় কর্তারা।

পার্বত্য বাঙ্গালীরা সবদিকেই মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারিত হচ্ছে। প্রায় দাবার গুটির মতো। ১৯৭৯ সালে রাস্ট্র পার্বত্য বাঙ্গালীদের নিজেদের প্রয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতিস্থাপন করতে বাধ্য করেন। যেসমস্ত জমি-পাহাড় সরকার কর্তৃক বাঙ্গালীদের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিলো তা অদ্যবতি পর্যন্ত বাঙ্গালীরা দখলে যেতে পারেন নি। অথচ বাঙ্গালীরা বছরের পর বছর ধরে সরকারকে খাজনা দিয়ে আসছে। শুধুমাত্র বৃটিশ প্রণীত ১৯০০ (পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি) প্রথাগত নিয়মের অজুহাত দিয়ে সমগ্র পাহাড় দখল করে রেখেছে উপজাতিরা। আজ পার্বত্য বাঙ্গালীরা নিজেদের রেকর্ডীয় জায়গাতে যেতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে গুচ্ছগ্রামের বন্দিশালায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসকল বিষয় ও রাস্ট্রীয় প্রয়োজনে যেসকল পার্বত্য বাঙ্গালীরা নানান আন্দোলনে নিজেকে উজাড় করেছে। অথাৎ যেসব বাঙ্গালীরা রাস্ট্রীয় ডাকে সাড়া দিয়েছে সেসকল বাঙ্গালীরা আজ উপজাতি সন্ত্রাসীদের জানের দুশমন, উপজাতি রাজনৈতিক নেতাদের চোখে সাম্প্রদায়িক হিসেবে পরিচিত, এবং প্রশাসনের কতিপয় কর্তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়।

পার্বত্য বাঙ্গালীদের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে অনেক বাঙ্গালী তার মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়েছেন, এমনকি তাকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়েও কোণঠাসা করা হয়েছে৷ সমাজের প্রতিটি পদে পদে তাকে বাধাপ্রাপ্ত করা হয়েছে। সরকারি অফিসে তাকে হয়রানি করা হয়েছে৷ এলাকার বাঙ্গালী দালাল ও আওয়ামীলীগ-বিএনপির নেতাদের রোষানলে পড়তে হয়েছে। উপজাতি দাদা বাবুদের গোলাপি করা নেতাদের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হতে হচ্ছে। এইভাবে সর্বদিক দিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের দমিয়ে রাখা হয়েছে। যার কারণে পার্বত্য বাঙ্গালীরা আজ সর্বদিকে পিছিয়ে আছেন। শিক্ষা, চাকরি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীরা অবহেলিত।

সারাজীবন বাঙ্গালীর জন্য কাজ করা মরহুম জালাল উদ্দিন চৌধুরী আলমগীর সাহেব মৃত্যুর পরে তার লাশ ডাস্টবিনের ময়লা বহনকরা গাড়িতে পরিবহন করা হয়েছিল। যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। রাস্ট্রের সঠিক নীতি না থাকায় পার্বত্য বাঙ্গালীরা পাহাড়ে পদে পদে অবহেলিত ও অসম্মানিত হচ্ছে। অভিভাবকহীন পার্বত্য বাঙ্গালীরা আজ দিশেহারা।

আরো একটি দুঃখজনক বিষয় হলো- পার্বত্য চুক্তিতে পার্বত্য বাঙ্গালীদের অউপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যা একজন বাঙ্গালী নাগরিকের জন্য চরম অসম্মানের ও লজ্জার। এমন লজ্জা অধিকাংশ পার্বত্য বাঙ্গালীর অনুধাবন হয়না। কারণ তারা উপজাতি দাদাদের গোলামী করতে করতে নিজেদের পরিচয়ও ভুলে গেছে। একারণে কেউ বাঙ্গালী ও রাস্ট্রের পক্ষে কথা বললে তাকে সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here