আমি থানায় মামলা করব না, মামলা করলে উপজাতি সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলবে!

0
74

মোঃ সোহেল রিগ্যান– গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ) দীঘিনালা হতে পিকআপ চালিয়ে খাগড়াছড়ি আসছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরিহ বাঙ্গালী ড্রাইভার। তার সঙ্গে ছিল, তার সহকারী উপজাতি (হেলপার)। সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় খাগড়াছড়ি ৯ মাইল নামক স্থানে আসলে চাঁদা আদায় করতে ইউপিডিএফ মূল প্রসিত ও জেএসএস সংস্কার এম.এন এর দুই সন্ত্রাসী মিলে তাদের মোটরসাইকেল সাইড দেয়নি অজুহাত দেখিয়ে বাঙ্গালী পিকআপ ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে সিগন্যাল দেয়। কিন্তু বাঙ্গালী ড্রাইভার ভয়ে গাড়ি থামায় নি। গাড়ি না থামায় উপজাতি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী আরো একটি মোটরসাইকেল ফোন দিয়ে এনে ৮ মাইল নামক স্থানে পিকআপ গাড়ি আটক করেন। গাড়ি থেকে ড্রাইভারকে নামিয়ে গাছের ঢাল দিয়ে পিটিয়ে সারা শরীরে মারাত্মক জখম করে। এবং নিরিহ বাঙ্গালী ড্রাইভারকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেয় এবং ভয়ঙ্কর উপজাতি সন্ত্রাসী নিজেকে পার্টির লোক পরিচয় দেয়।

সড়কে গাড়ি আটকিয়ে বাঙ্গালী ড্রাইভারকে মারধরের সময় অন্যান্য গাড়িতে যাত্রীসহ তার নিজ গাড়িতে উপজাতি হেলপার ছিল তারাও সন্ত্রাসীদের ভয়ে মারধর থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন নি বলে জানা যায়।

মারধরের সময় অন্য একটি গাড়ির যাত্রী হিসেবে ছিলেন, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থী এক বাঙ্গালী ছাত্র। তিনি হামলার আংশিক অংশ ভিডিও ধারণ করেন বলে সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাঙ্গালী ড্রাইভারকে সড়কে প্রকাশ্যে মারধর করার চিত্র এবং ড্রাইভারের আর্তনাদ।

ভিডিও করার সময় ধরা পড়ার ভয়ে মোবাইলের ক্যামরা নিচে ঘুরিয়ে রাখেন, তখন নির্যাতনের ভয়াবহতার আওয়াজ এবং হুমকিমূলক কথাবার্তাগুলোর রেকর্ড হয়। রেকর্ডের সময় গুলি করে হত্যার কথা শুনা যায় এবং নিজেদেরকে পার্টির লোক হিসেবে পরিচয় দিতে শুনা যায়৷ ভাষার ভয়েস অনুযায়ী সন্ত্রাসীরা ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বলে মনে হচ্ছে৷

জানা যায়, তারা সবসময় খাগড়াছড়ি ৯ মাইল নামক স্থানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াই এমনকি ৮ মাইল নামক স্থানে চাঁদার জন্য বিভিন্ন যানবাহন আটকিয়ে নির্যাতন চালায়।

আহত ড্রাইভার থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি নিরাপত্তা ভয়ে তেমন কোন তথ্য দিতে চাননি। তিনি জানান, প্রশাসন, পুলিশ কেউ তার নিরাপত্তা দিবে না। তাকে সড়কে কর্ম করে খেতে হবে৷ সবসময় এই পথে গাড়ি চালান তিনি। এখন যদি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় কোনপ্রকার মামলা করেন, তাহলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করবে৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম ও নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রতিকার পাবার অতীত ইতিহাস নেই। তাই তিনি বেছে থাকার স্বার্থে কোন মামলায় যেতে আগ্রহী নয়। এবং এই হামলার ব্যাপারে ও নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে আগ্রহী নয়।
তিনি HWF কে আরো জানান, পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীরা নির্যাতন করলে কিংবা হত্যা করলে তার কোনদিন বিচার হয়না৷ তিনি যদি মামলা করেন, পুলিশ কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা নিবেনা। তাই তিনি তার উপর বয়ে যাওয়া নির্যাতনের বিচার আল্লাহর নিকট ছেড়ে দিয়েছেন।

উপজাতি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্তৃক আহত বাঙ্গালী ড্রাইভারের ভাষ্য অনুযায়ী, পাহাড়ে বিচারের সংস্কৃতি নেই। প্রশাসনের প্রতি পাহাড়ের সাধারণ মানুষের আস্তা নেই। মূলত এর ফলে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া।

ছবিতে থাকা এই সন্ত্রাসী সবসময় অস্ত্র নিয়ে খাগড়াছড়ি ৯ মাইল এলাকায় ঘুরাফেরা করলেও তাকে গ্রেফতারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নেই৷ দীঘিনালা থানা ও খাগড়াছড়ি সদর থানা উপজাতি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়াই উক্ত সড়কে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here