মহালছড়িতে বাঙ্গালীদের জায়গা দখলে নিতেই পাহাড়ীরা নিজেরা নিজেদের ঘরে আগুন দিয়েছে

0
108

মোঃ সোহেল রিগ্যান– গত ১৪ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মধ্যে ঘর পোড়ানো নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। পাহাড়ীরা নিজেদের ঘরে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে বাঙ্গালীদের কে দোষারোপ করে, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার করে গুজব সৃষ্টি করে। সেসব পুরাতন ছবিগুলো এখন আবার নতুন করে প্রচার করে গুজব সৃষ্টি এবং পাহাড়ী-বাঙ্গালী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে ইউপিডিএফ প্রসিত বিকাশ খীসার সন্ত্রাসী সংগঠনসহ পাহাড়ী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো।

বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ মহালছড়ি সাব-জোন এর সেনাবাহিনীর একটি টহল দল সরেজমিনে উপস্থিত থাকিয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে উভয়পক্ষকে এসিল্যান্ডের বরাবর জমির সমস্যার সমাধানের জন্য যেতে বলা হয়। সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জমিতে উভয়পক্ষকে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

বর্তমানে বাঙ্গালীদের জায়গাতে পাহাড়ী কর্তৃক নতুন কিছু ঘর তৈরি করা হয়, যা বাঙ্গালীরা সাবজোনকে ও প্রশাসনকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করে।
এরপর গত ২ জুন, ২০২২ খ্রিঃ তারিখে ক্যাম্প কর্তৃক চেয়ারম্যান, মেম্বার, হেডম্যান, কারবারি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে এবং পুনরায় উভয়পক্ষকে এসিল্যান্ডের শরণাপন্ন হওয়ার জন‍্য নির্দেশ প্রদান করেন।

কিন্তু পাহাড়ীরা ইউপিডিএফ প্রসিত সন্ত্রাসীদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ইন্ধনে গত ২০ জুন ২০২২ খ্রিঃ বাদী মো. আব্দুল বারেক এর দুই একর জমির সেগুন গাছ কেটে ঘর নির্মাণ করে। বিষয়টি স্থানীয় পাহাড়ী ইউপি সদস্য বাবু অংসানু মারমা (০৪ নং ওয়ার্ড) এবং বাবু রিগেন চাকমা (০৫নং ওয়ার্ড)-কে জানালে তারা কিছু করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

বিষয়টি নিয়ে আব্দুল বারেক এর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মহলছড়ি থানায় মামলা প্রদান করেন। কিন্তু সেখানেও পুলিশ পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়।

অদ‍্য (মঙ্গলবার) ৫ জুলাই, ২০২২ খ্রিঃ বাঙ্গালীরা বাঙ্গালীদের জায়গাতে গেলে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে শতাধিক পাহাড়ী বাঙ্গালীদের উপর হামলা করে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে বাঙ্গালীদের উপর হামলা করার চেষ্টা করে। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয় তবে কোন মারামারি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বাঙ্গালী কর্তৃক পাহাড়ীদের ঘর ভেঙে দেয়ার বা আগুন দেয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। পাহাড়ীরা ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের ইন্ধনে বাঙ্গালীদের রেকর্ডীয় জায়গাতে ঘর বানিয়ে সে ঘর আবার নিজেরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং ভাংচুর করে।
উক্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহলদল গেছে বলে জানা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসকল ঘর ভাংচুর ও আগুনে পুড়ে দেয়ার ছবি পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের আইডি হতে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এসব পুরাতন ঘটনার ছবি নতুন করে ছড়িয়ে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার প্রচেষ্টায় ইউপিডিএফ। তাই জনসাধারণ এবং আইন- শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে অনুরোধ করবো বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত না হবার জন্য। প্রকৃত অপরাধী এবং সম্প্রীতি বিনিষ্টকারী ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here