ছবিটি কোন নাটক কিংবা সিনেমার দৃশ্য নয় এটি পাহাড়ের উপজাতীয় সন্ত্রাসীর ছবি।

0

 

ছবিটি কোন নাটক কিংবা সিনেমার দৃশ্য নয় এটি বান্দরবানের কোনো এক পাহাড়ের গুহায় লুকিয়ে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য।
১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সরকার এই অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথেই চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল ;যাতে উপজাতিরা সন্ত্রাসী এবং দেশদ্রোহী কার্যক্রম বন্ধ করে শান্তির সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেয়।যাকে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি নামে অভিহিত করা হয়।

বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে ৭২ টি ধারার যে চুক্তি সরকার করেছিল তার মধ্যে সন্ত্রাসীদের প্রতি অন্যতম শর্ত ছিল অস্ত্রধারীরা অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবে এবং বাংলাদেশ সংবিধানের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করবে।

সরকার তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শান্তিচুক্তির শর্ত সমূহ আন্তরিকতার সাথে বাস্তবায়ণ করলেও উপজাতি সসন্ত্রাসীদের হাতে এখনো অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি।
এখনো দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে উপজাতি সন্ত্রাসীদের অবস্থান পরিষ্কার।
এখনো পার্বত্য চট্রগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাদের কল্পিত জুম্মল্যান্ডের স্বপ্ন বাস্তবায়ণে সর্বদা প্রচেষ্টারত।

তাহলে প্রশ্ন জাগে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা কি আদৌ অস্ত্র জমা দিয়েছে????
বাংলাদেশ সংবিধানের প্রতি আদৌ কি তারা সম্মান প্রদর্শন করে???

যদি উত্তর হয় না তাহলে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্রগ্রামে উপজাতিদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
শান্তিচুক্তির শর্তানুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যে-সকল সেনা ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল তা অবিলম্বে পুনঃস্থাপন করতে হবে।
“পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য আলাদা কোন আইন নাই “মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই পাহাড়ের ভুমি ক্রয়-বিক্রয় সহ সমস্ত কিছু চলবে বলে ঘোষণা করতে হবে।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা যেহেতু শান্তিচুক্তিকে কর্ণপাত না করে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে তাই সরকারকে এই চুক্তি বিষয়ে বাতিল কিংবা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More