মানিকছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক বিপুল পরিমাণ অবৈধ সেগুন কাঠ জব্দ: জনমনে স্বস্তি।

0
95

অদ্য, শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বিপুল পরিমাণ সেগুন ও গামারি কাঠ জব্দ করেছে বন বিভাগ। অবৈধভাবে পাঁচারের উদ্দেশ্যে জমায়েত করা কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।

অবৈধ কাঠ আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আসে। অবৈধ কাঠ পাচারকারীদের দৌরাত্ম এমনটা বেড়েছে এখানকার মানুষ গৃহনির্মাণে প্রয়োজনে অল্পস্বল্প কাঠ ক্রয় ক্ষমতাও নেই৷ সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে এখানকার সব কাঠ চড়া দামে কিনে নেয় এবং বাহিরে পাচার করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, অবৈধ কাঠ সিন্ডিকেটের কারণে এখানকার বাগান বাগিচা ও পাহাড়গুলো ন্যাড়া হয়ে আছে। বন বিভাগের সঙ্গে যোগসাজশে কাঠ পাচার করে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিসাধন করা হয়। অসাধু কিছু কাঠ পাচারকারীর কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ বন আইন ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে এখানকার গাছগাছালি কেটে ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। এসবের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়।

সেনা সূত্র জানায়, এখানে কাঠ নিয়ে বিশাল টাকার ভাগবাটোয়ারা চলে। প্রতিটি কাঠের গাড়ি হইতে চাঁদা নিয়ে গাড়ি পারাপারের সহযোগিতা করা হয়। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ কাঠগুলো আটক করতে সক্ষম হই। চাঁদার উৎস হচ্ছে অবৈধ কাঠ। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগি হিসেবে এখানে জনহিতকর বিভিন্ন কার্যে অংশ নিচ্ছে তার পাশাপাশি শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখছে। চাঁদাবাজ ও অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পরবর্তীতে, গাড়িটানা বন বিভাগ রেঞ্জ কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী জানান, আজ বিকেলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মানিকছড়ি উপজেলার পান্নাবিল এলাকায় সড়কের অদূরে লুকিয়ে রাখা কাঠের স্তুপের খবর পেয়ে মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্পের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পরিত্যক্ত অবস্থায় সেগুন ও গামারি (গোল কাঠ) কাঠের রদ্দা (টুকরো) জব্দ করা হয়। আনুমানিক ৭০০ ঘনফুট কাঠ, যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা পরিমাণ।

তৎক্ষণাৎ গাড়িযোগে জব্দকৃত এসব কাঠ গাড়িটানা বন বিভাগে সংরক্ষণ করা হয়। এ বিষয়ে বন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here