অবৈধ কাঠ পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত পোষা হাতি উদ্ধার: ৬০০ ঘনফুট কাঠ জব্দ!

0

পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি পোষা হাতি আটক করেছে বন বিভাগ। শুধু তায় নয়, এ সময় আটক হাতির মাহুতসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৬০০ ঘনফুট অবৈধ কাঠও জব্দ করা হয়।

শনিবার (২৩ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি লেমুপালং এলাকার পালং খাল ও শীল ঝিরির মোহনা থেকে এসব কাঠ জব্দের পাশাপাশি হাতি আটক করা হয়। আটক হাতিটি সিলেট জেলার মোমিন কোম্পানীর বলে জানান বন কর্মকর্তারা।

সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সরই ও গজালিয়া -এ দুই ইউনিয়নের মঝামাঝি লেলুপালং এলাকার পাহাড়ে শ্রমিক লাগিয়ে বড় বড় আকারের গাছ কেটে হাতি দিয়ে পরিবহনের পর লোকালয়ে নিয়ে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছেন মোরশেদ আলম চৌধুরী ও তার ম্যানেজার মো. রফিক নামের দুই ব্যক্তি।

স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলালের নির্দেশনায় লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহি ও ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত লেমুপালং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে কাঠ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত মাহুত সহ একটি হাতি আটক ও গর্জন, শিউলী, লালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ জব্দ করেন বন বিভাগ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে হাতি দিয়ে গাছ পরিবহরের খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা বন বিভাগের দুইটি টিম লেমুপালং মৌজায় অভিযান চালিয়ে মাহুত সহ হাতি ও কাঠ জব্দ করেছি। ওই এলাকায় কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত আর কোন পোষা হাতির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আটক হাতি শনিবার দিনগত রাতেই কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ও আটক হাতির মাহুতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

অভিযানে কাঠ জব্দসহ মাহুত ও হাতি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল জানান, অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত পোষা হাতির মালিকের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর অধীনে ও কাঠ পাচার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফরেস্ট ট্রানজিট রুল্স ১৯৭৩ এর অধীনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অবৈধভাবে কাঠ পাচার রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গা হতে আঞ্চলিক দলের সহযোগিতায় কাঠ পাচার করে আসছে অসাধু কাঠ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট। অবৈধ কাঠ পাচার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসসহ পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করে আসছিলো কাঠ চোরাকারবারি সমিতি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More