রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে ডংনালা লামার পাড়া বন্যহাতি তাড়ানোর কথা বলে বাঙালী যুবককে ডেকে নিয়ে গুলি করে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। গুলিতে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি যুবকটির অবস্থা শোচনীয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পুর্ব শক্রুতার জের ধরে পাহাড়ী-বাঙালীদের চলাচলের একটি পথ নিয়ে বিরোধের জেরে দীর্ঘ দেড় বছর পর হাতি তাড়ানোর কথা বলে প্রতিশোধ নিতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পাহাড়ের টিলায় হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করেছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, রাইখালী ইউনিয়ন হতে প্রায় ৭কি. মি. দুরে লামার পাড়া। সেখানে বাঙ্গালীদের পাশাপাশি বসবাস করে বেশ কিছু উপজাতীয় সম্প্রদায়। ওই এলাকায় যাতায়াতের একটি পথ নিয়ে দীর্ঘ একবছর পূর্বে পাহাড়ী-বাঙ্গালী দু’পেক্ষর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও এলাকার লোকজনের মধ্যস্থতায় ঘটনাটি সমাধান করা হয়।
চলাচলের পক্ষে এলাকার বালু শ্রমিক কাউছার (২২) কথা বলায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার সাথে বন্ধুপূর্ণ সখ্যতা গড়ে তোলে এলাকার ক্রেনু মং মারমার ছেলে অং সুনু মারমা ও আরো কয়েকজন ।
৭ অক্টোবর রাতে অংসুনু মারমা ও তার সহযোগীরা বন্যহাতি তাড়ানোর কথা বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে টিলার ওপরে নিয়ে গিয়ে দৈশীয় তৈরি এলজি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য দু’টি গুলি করে। এতে কাউছার গুরুতরভাবে আহত হয়।
কিন্তু এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা। অংসুনু মারমার সহযোগী একজন কাউছারকে গলা টিপে ধরে, অন্যজন লাথি মারতে থাকে। কাউছার গুলিবিদ্ধ অার্তচিৎকার চেঁচামেচি করে দৌঁড়ে পালাতে থাকে। এমন সময় এলাকার লোকজন ও তার পরিবার চিৎকার শুনে দৌঁড়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখে প্রথমে রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ও পরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে চটগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বর্তমানে আহত কাউছার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার অবস্থা ভাল নয় বলে পরিবার সূত্রে জানায়। বর্তমানে আহত কাউছার কথা বলতেও পারছে না।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে ৫ আর,ই কাপ্তাই বাঙ্গাল হালিয়া সেনা ক্যাম্প,৪১ বিজিবি ও চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
আহত কাউছারের পিতা হেলাল উদ্দিন বলেন, থানা মামলা নেওয়ার জন্য গড়িমসি করছে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ঘটনার বর্ণনা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টা তদন্ত করছি।
মামলা নেয়া নিয়ে গড়িমসি করা নিয়ে পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা আহত যুবককে থানায় নিয়ে এসেছিল। আমি তাদের বলেছি, তোমরা আগে রুগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করো, তাকে বাঁচাও, মামলা পরেও করতে পারবে। তার পিতার সাথে আমার কোনো কথাও হয়নি।