||নিজেস্ব প্রতিবেদক||
হিল নিউজ বিডি-এরিক্যা চাকমা ( ২৭) পিতা- সুবল চাকমা, সাং খাগড়াছড়ি গমারী ঢালা। সেই একজন বেকার লোক তার স্ত্রী চট্টগ্রাম গার্মেন্টস চাকরি করে। এইসকল বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে ঝগড়াঝাটি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ নভেম্বর স্বামী-স্ত্রী দু’জনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ৯ নভেম্বর সন্তানকে স্বামীর কাছে রেখে গার্মেন্টস চাকরিতে যায় স্ত্রী৷ যাওয়া সময় স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়, স্বামীকে সন্তান নিরব চাকমা(৫) নিয়ে খাগড়াছড়ি চলে যেতে বলে।
স্বামী এরিক্যা চাকমা সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম হইতে খাগড়াছড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা না দিয়ে কাউখালী বগাছড়া চন্দবংশ শিশু সনদ আশ্রম এলাকায় চলে আসে। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া বিরোধ এর সূত্র ধরে নিজ শিশু সন্তানকে হত্যা করে বগাছড়ি আশ্রম এলাকার নির্জন গহীন পাহাড়ে পেলে রেখে পালিয়ে যায়।
রাঙামাটি ১৫-১৬ নভেম্বর চাকমা রাজ বাড়ির বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবরদান ধর্মীও অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এরিক্যা চাকমা নিজের সন্তানকে হত্যা করে রাঙামাটি কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে চলে যায়। এরমধ্যে স্ত্রী তার স্বামী এরিক্যা চাকমাকে খোঁজতে ও সন্তান কে দেখতে রাঙামাটি কঠিন চীবরদানে আসে। বহু খোঁজার পরে স্বামীর দেখা পেলেও স্বামীর সঙ্গে পাঁচবছরের সন্তানকে দেখতে না পেয়ে স্ত্রীর সন্দেহ হয় স্বামীর প্রতি। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বামী এরিক্যা চাকমা পাঁচ বছরের নিজ শিশু সন্তানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। সেই জানায় পাঁচ বছরের সন্তানকে সেই কাউখালী উপজেলার অদূরে বগাছড়া চন্দ্রবংশ শিশু সনদের আশ্রম এলাকার নির্জন গহীন পাহাড়ে হত্যা করে রেখে আসে। ৮ নভেম্বর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করে চলে আসার পরে সারাদিন তাঁর সন্তান তার থেকে খাওয়ার চেয়েছে। কিন্তু তবুও সন্তানকে সারাদিন কোনপ্রকার খাওয়ার দেয়নি৷ পরে সন্ধ্যায় পাঁচ বছরের শিশুকে হত্যা করে।
এরিক্যা চাকমার তথ্য মোতাবেক পরে স্থানীয়রা কাউখালী থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১৮ নভেম্বর রবিবার ১২ টায় পাঁচ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং স্থানীয়রা আটক এরিক্যা চাকমাকে কাউখালী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে কাউখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ। এই নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।