সন্তু লারমা ও দেবাশীষ রায় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে শহীদ মিনারে যান না!

0

সন্তু লারমা হচ্ছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর সভাপতি তিনি। ৩৮ হাজার বাঙ্গালী খুনি সন্তু লারমা ১৯৯৭ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৩৮ হাজার বাঙ্গালী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থেকে দায় মুক্তি পাওয়া এক রক্তপিপাসু নরখাদক। তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালী থেকে পাহাড়ি পর্যন্ত ঘৃণা করে। এই রক্তপিপাসু নরখাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম শর্ত অনুযায়ী ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান’ উপমন্ত্রী পদমর্যাদা ভোগকারী৷ সন্তু লারমা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও এযাবত কোনদিন তিনি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে যান না। তাকে কখনো ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৫ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে যেতে দেখা যায়নি। এই দেশদ্রোহী বাংলাদেশের নাগরিকত্বের প্রধান শর্ত জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেনি প্রায় ১৫ বছর৷ পরবর্তী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হলে অতি সংগোপনে জাতীয় পরিচয় গ্রহণ করেন।

ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, চাকমা চীফ সার্কেল, তিনি জেলা প্রশাসক কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন কর্মচারী বা প্রতিনিধি। এই অঞ্চলের ভূমির খাজনার আদায়কৃত অর্থের ৪২ পয়সা নিজের ভান্ডারে রাখেন। অথাৎ সরকারি সুযোগ-সু্বিধা ভোগকারী। তাকে কখনো সন্তু লারমার মত জাতীয় দিবসগুলোতে শহীদ মিনারে যেতে দেখা যায়না। দেবাশীষ রায়ের পিতা ছিলেন একজন স্বাধীনতা বিরোধী আত্মা স্বীকৃত রাজাকার। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে সেদেশে চলে যান। পিতার মত দেবাশীষ রায়ও বাংলাদেশ বিরোধী৷ প্রকাশ্যে গোপনে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত৷

উক্ত দেশদ্রোহীদের কাছ থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়া সময়ের শ্রেষ্ঠ দাবি।

সন্তু লারমা, দেবাশীষ রায় এর পাশাপাশি ইউপিডিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রসিত বিকাশ খিসাকেও কখনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলাতে শহীদ মিনারে যেতে দেখা যায়না। ইউপিডিএফ পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের জাতীয় দিবস গুলোতে যেতে বাধা প্রদান করে। তারা জাতীয় দিবসগুলো পালন বর্জন করেছে৷ ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ইউপিডিএফ বর্জন করে বাঙ্গালী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর কাউখালী কলেজে হামলা করে। এই হামলার ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রুপ নেয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More