নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে একাগ্রতা প্রকাশ করেছে সাধারণ পাহাড়বাসী।

0

পাহাড়ের বাঁকে বাঁকেই অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি, বারুদের গন্ধ আকাশ-বাতাশ ভারী ও চারদিকে সারি সারি লাশের গন্ধ আর ছিটানো রক্তের দাগ। সন্ত্রাসের এই অভয়ারণ্যে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন যখন দুর্ষিহ ঠিক তখনই মানুষের নিরাপত্তার এগিয়ে এসেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এখানে সন্ত্রাসীদের নির্মম অত্যাচার ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। পাহাড়বাসী তথা পাহাড়ী বাঙ্গালীদের একমাত্র ভরসা নিরাপত্তা বাহিনী৷ নিরাপত্তা বাহিনীর কল্যাণে মানুষ পাহাড়ে বেছে থাকার স্বপ্ন দেখে। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একাগ্রতা প্রকাশ করেছে সাধারণ পাহাড়বাসী।

সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও প্রতিপক্ষ গ্রুপকে মোকাবিলা করতে আধুনিক নতুন নতুন অস্ত্র কেনার দিকে ঝুঁকছে। তাই অস্ত্র কেনার জন্য সাধারণ মানুষের উপর চাঁদার হার বাড়িয়ে দিয়েছে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। পরিবার প্রতি গণহারে চাঁদা ধায্যসহ পূর্বের চেয়ে বেশি হারে চাঁদা দাবি করছে৷ আর এই চাঁদা কেউ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অপহরণ পূর্বক হত্যা করা হয়। এমন জুলুম ও নির্যাতনের মধ্য দিয়েই যেতে হয় পাহাড়বাসীকে।

এছাড়াও আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির টাকার ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে এলাকায় হানাহানি, খুন-গুম ও রক্তারক্তি সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে৷ তাদের এই সংঘাতে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ পাহাড়বাসীর। পাহাড়ে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনা ঘটছে। অবৈধ অস্ত্র ও চাঁদাবাজির জোরে হত্যাকাণ্ডের মত ঘৃণিত ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা বন্ধে নিরাপত্তা বাহিনী মাঠে নেমেছে৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের জানমাল রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর বিকল্প নেই। নিরাপত্তা বাহিনীর এই ভূমিকাকে মানুষ সাদুবাদ জানিয়েছে। সেসাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একাগ্রতা প্রকাশ করেছে সাধারণ পাহাড়বাসী।

লেখক: পারভেজ মারুফ, খাগড়াছড়ি দীঘিনালা, ০৭/০৫/২০২৪

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More