হিল নিউজ বিডি.কম- খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবানে বসবাসরত পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীদের শুরু হয়েছে তিন দিনের ঐতিহ্যবাহী উৎসব। তাদের বিশ্বাস মতে, পুরনো বছরের সব ময়লা, পাপ, আপদ, বিপদ, গ্লানি, ব্যর্থতা ধূয়ে-মুছে ফেলতে পানিতে ভাসানো হয় ফুল। এর মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা জানানো হয়, নতুন বছরে সবক্ষেত্রে পরিপূর্ণরুপে সাফল্য অর্জন ও শুভ-মঙ্গলের। এমনটির প্রার্থনায় শুক্রবার সকালে উৎসবের প্রথম দিন নদীর ঘাটে ফুল ভাসিয়েছে, পাহাড়ি মানুষরা। শুক্রবার সকাল ৬টায় রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের পূর্ব ঘাটে আনুষ্ঠানিক ফুল ভাসানো হয়েছে, বিঝু, বৈসু, সাংগ্রাইং, বিষু, বিহু, চাংক্রান-২০১৯ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে। সকাল ৯টায় শহরের গর্জনতলীতে ফুল ভাসায় ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন। উৎসবের রঙে রঙ্গিন রাঙ্গামাটি। একই সময়ে রাঙ্গামাটি শহরের কেরানি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন হিলর ভালেদী ও হিলর প্রোডাকশন এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ফুল ভাসা অনুষ্ঠান। অংশ নেন নিজ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির পোশাকে শত শত তরুণ-তরুণী। ফুল ভাসানো অনুষ্ঠানে যোগ দেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও ব্যবস্থাপনা সার্বিক ও সভাপতি সহ সংশ্লিষ্টরা।
একইভাবে তিন পার্বত্য জেলায় একযোগে বৈসাবির যাত্রা শুরু হয়।
শুক্রবার সকালে নদীর ঘাটে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে সূচিত হয় উৎসবটির। এদিন থেকে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়িদের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে আপ্যায়নের নানা আয়োজন। শেষ হবে রোববার। আজ (শনিবার) উৎসবের মূল দিন। এ দিনকে চাকমারা ‘মূলবিঝু নামে পালন করে থাকে। প্রথম দিনকে বলা হয় ‘ফুলবিঝু’।
উৎসবের প্রথম দিনকে চাকমারা ফুলবিঝু, মারমারা পাইংছোয়াই, ত্রিপুরারা হারিবৈসুক নামে পালন করে। আজ (শনিবার) উদযাপিত হবে উৎসবের মূলদিবস। এ দিন চাকমারা মুলবিঝু, মারমারা সাংগ্রাইং আক্যা, ত্রিপুরারা বৈসুকমা নামে পালন করে উৎসবটির। আগামীকাল (রোববার) অর্থ্যাৎ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন বা উৎসবের তৃতীয় দিন চাকমারা গোজ্যেপোজ্যে, মারমারা সাংগ্রাইং আপ্যাইং ও ত্রিপুরারা বিসিকাতাল নামে পালন করবে। বৈসবির এদিনে একাট্টা হয় নব বর্ষবরণ বা বৈশাখী উৎসব। এরপর ১৫ এপ্রিল হতে সপ্তাহব্যাপী রাঙ্গামাটিসহ তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং জলোৎসব।
শুক্রবার সকালে নদীর ঘাটে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে সূচিত হয় উৎসবটির। এদিন থেকে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়িদের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে আপ্যায়নের নানা আয়োজন। শেষ হবে রোববার। আজ (শনিবার) উৎসবের মূল দিন। এ দিনকে চাকমারা ‘মূলবিঝু নামে পালন করে থাকে। প্রথম দিনকে বলা হয় ‘ফুলবিঝু’।
উৎসবের প্রথম দিনকে চাকমারা ফুলবিঝু, মারমারা পাইংছোয়াই, ত্রিপুরারা হারিবৈসুক নামে পালন করে। আজ (শনিবার) উদযাপিত হবে উৎসবের মূলদিবস। এ দিন চাকমারা মুলবিঝু, মারমারা সাংগ্রাইং আক্যা, ত্রিপুরারা বৈসুকমা নামে পালন করে উৎসবটির। আগামীকাল (রোববার) অর্থ্যাৎ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন বা উৎসবের তৃতীয় দিন চাকমারা গোজ্যেপোজ্যে, মারমারা সাংগ্রাইং আপ্যাইং ও ত্রিপুরারা বিসিকাতাল নামে পালন করবে। বৈসবির এদিনে একাট্টা হয় নব বর্ষবরণ বা বৈশাখী উৎসব। এরপর ১৫ এপ্রিল হতে সপ্তাহব্যাপী রাঙ্গামাটি জেলা ব্যতিত অন্য দুই জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইং জলোৎসব।
উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ মূল প্রসিত- জেএসএস মূল সন্তু লারমা গ্রুপের হুমকির কারণে বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্তি বিরাজ করছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উপজাতীয় জনগোষ্ঠী। তবুও বৈসাবি পালনে প্রস্তুত রয়েছে কমবেশি সকলে। তবে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) জানিয়েছেন তারা এইবার রাঙ্গামাটি জেলায় সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব পালন করবে না। নিরাপত্তার অজুহাতে সাংগ্রাই বাতিল করেছে রাঙ্গামাটি জেলায় সংগঠনটি।