লেখক শাহবাজ খাঁন- আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন হলো আজ ৪৬ বৎসর হয়। কিন্তু আফসোস্, স্বাধীনতা পরবর্তী এই বিশাল সময়ের ব্যবধানেও আমাদের-ই স্বজাতি পার্বত্য বাঙালি মা-ভাই-বোনগণ ভিনদেশি উপজাতি সন্ত্রাসী দ্বারা যত্রতত্র খুন আর নির্যাতিত হয়ে অসহায় জীবন-যাপন করছে। আমাদের বাঙালি সরকারদের ভুল ও দুর্বলতার সুযোগে উপজাতিরা পার্বত্য অঞ্চলে এতোই প্রভাব বিস্তার করেছে যে, পার্বত্য অঞ্চলকে এখন তারা স্বাধীন জুম্মল্যান্ড রাষ্ট্র বানাতে সকল ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অবশ্য এর কারণ হিসেবে বলা যায় যে, আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যারা দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিলো। তাদের মধ্যে বাঙালি রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা-বিরোধী অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত হলেও, আজ পর্যন্ত একজনও উপজাতি রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী কিংবা মানবতা-বিরোধী অপরাধীর শাস্তি হয় নাই। বরং তারা বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মর্যাদাবান পদে থেকে মন্ত্রীর মর্যাদায় বাঙালির রক্তে কামাই করা (উপার্জনের টাকায় প্রদান করা) ট্যাক্স-ভ্যাটের টাকায় দামী গাড়ি হাঁকিয়ে ও বাড়িতে থেকে সরকারী প্রঢৌকল নিয়ে বাঙালিদের-ই স্যালুট গ্রহণ করে!!
এছাড়াও উপজাতি সন্ত্রাসীরা এতোই ভাগ্যবান যে, তারা বাংলাদেশের শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস সহ রাষ্ট্রীয় কোন দিবস-ই পালন না করলেও, তাদের জন্য সারা বাংলাদেশের সকল জায়গায় সরকারি-বেসরকারি চাকরি-বাকরিতে কোটা সুবিধা রাখা হয়েছে। অথচ একজন পিওর বাঙালির জন্য সেটা সোনার হরিণ নয়তো চাঁদের বুকে বনি-আদমের বাসা। যেই বার্মিজ উপজাতীরা তিন থেকে চারশত বৎসর পূর্বে মগ জাতির দ্বারা নির্যাতিত ও বিতারিত হয়ে বন-জঙ্গল পাড়ি দিয়ে গোপনে চুরি করে আমাদের দেশের বর্তমান পার্বত্য অঞ্চলে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে আমাদের অজান্তে ও বেখেয়ালিপনায়। সেই ভিনজাতিই আজ পার্বত্য অঞ্চলের হর্তাকর্তা। সবচেয়ে বেশী দুঃখ লাগে তখন, যখন দেখি মুক্তিযোদ্ধা নামধারী, লেবাসধারী’রা সন্তু লারমার মতো যুদ্ধাপরাধী ও তার দোসরদের কথায় উঠে-বসে আর তাদের পক্ষে কথা বলে। আর এইসব নামধারী বীর, মীর-জাফরীদের কারণেই উপজাতি সন্ত্রাসীদের চালচলন আর ভাবমূর্তি দেখলে মনে হয় যে, ওরা না থাকলে মনে হয় আমাদের দেশ চলবেই না, পঙ্গু হয়ে যাবে!!
আমাদের ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটারের স্বাধীন বাংলাদেশে প্রায় ৪৫ টি ক্ষুদ্র উপজাতীয় সম্প্রদায় বসবাস করে। তন্মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে ১২টি সম্প্রদায়ের বাস। যেগুলো হচ্ছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মুরং, পাংখোয়া, চাক, খুমী, খিয়াং, লুসাই, তংচংগা, বম এবং রিয়াং। সিলেট অঞ্চলে মনিপুরী, খাসিয়া, ত্রিপুরা, পাত্র, হাজং। ময়মনসিংহ অঞ্চলে গারো, কুকি। রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে সাঁওতাল ও অন্যান্য কয়েকটি উপজাতি সম্প্রদায়ের বসবাস। তবে অন্যান্য জেলা ও উপজেলার উপজাতি সম্প্রদায় নিয়ে তেমন কোন সমস্যা দেখা না দিলেও, পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতিদের নিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব থেকেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাদের মধ্যে সাধারণ উপজাতি জনগণ ব্যতীত, নেতৃত্বস্থানীয় প্রায় সকলেই বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং তাদেরকে সহযোগীতা করছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে অবিশ্বাসী দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ও আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবি খ্যাত কিছু অমানুষ। বুদ্ধিজীবি, সুশীলগণ কেন ও কি কারণে উপজাতি সন্ত্রাসীদের পক্ষ অবলম্বন করেন, তা আমার মাথায় ধরে না। যেই উপজাতি সন্ত্রাসীদের নেতা যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা-বিরোধী অপরাধী সন্তু লারমা ও তার দোসর’রা প্রায় চল্লিশ হাজার নিরস্ত্র ও নিরীহ্ বাঙালিকে হত্যা করে মৃত ব্যক্তিদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে আর গাছের ডালে ঝুলিয়ে আনন্দ করতে পারে। তাদের পক্ষ যেই ব্যক্তিই অবলম্বন করুক না কেন! অন্ততপক্ষে আমি কখনোই সেইসব মানুষরূপী শয়তানদের পক্ষ নিবো না। বরং তাদের বিরুদ্ধে আমার কলম চলতেই থাকবে
পার্বত্য