সাঁকো নাড়াবেন না, সিদ্দিকী শাহীন!

0



হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছেন যেন আমাদের দেশ একটি পর্যটন বান্ধব দেশ হিসেবে বিশ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সরকারের এই মহৎ উদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য এবং মুসলমান পর্যটকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সাজেকে একটি মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের এই মহৎ উদ্দেশ্যকে বানচাল করে দেয়ার জন্য কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এবং পাহাড়ে সন্ত্রাসী দলগুলো উঠে পড়ে লেগেছে।

আমরা যদি ২০১১ সালের আদমশুমারির দিকে একটু লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাব যে, ২০১১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৬ লক্ষ যার শতকরা ৫১ ভাগ পাহাড়ি এবং ৪৯ ভাগ বাঙালি। বর্তমান প্রেক্ষিতের কথা চিন্তা করলে দেখা যাবে পাহাড়িদের থেকে বাঙ্গালীদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক বেশি হবে কিন্তু কম হবে না। অধিকন্তু, বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ যার ৯০ ভাগ জনগণ মুসলমান।

কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে দেখা যায় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের শত শত কিয়াং ঘর তৈরি করা হয়েছে সরকারি খাস জমি এবং বন বিভাগের জমির উপর। আপনারা জেনে নিশ্চয়ই আশ্চর্য হবেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় ১৬৫২ টি কিয়াং ঘরের মধ্যে ৬৩৩ টি কিয়াং ঘর সরকারি খাস জমির উপর নির্মিত। এসকল কিয়াং ঘর ধর্মের নামে নির্মিত হলেও বাস্তবে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় স্থল এবং অস্ত্র ভান্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাহাড়ে বাঙালী জনসংখ্যার আনুপাতিক হার, মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এবং মসজিদের কথা বিবেচনা করলে আপনারা অনুমান করতে পারেন যে পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো কি পরিমান মসজিদ স্থাপন করতে হবে????

সুতরাং, সাঁকো নাড়াবেন না। নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারবেন না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More