||সিদ্দিকী শাহীন||
পৃথিবীর সকল দেশেই টুরিস্ট বান্ধব স্থাপনা তৈরি করা হয় পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চয়তার জন্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম হলো পর্যটন শিল্পে অপার সম্ভাবনার লীলাভূমি। তন্মধ্যে, সাজেক হলো রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পর্যটক বান্ধব একটি জায়গা যা উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের এসকল পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তারই অংশ হিসেবে সাজেকে ট্যুরিস্টদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ একটি মসজিদ স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেই ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এই মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সুবিধাভোগী দল এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলগুলো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পাহাড়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপপ্রচারে সাধারণ পাহাড়িদের ধারণা যে, এই মসজিদ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু সাজেকে নব নির্মাণাধীন মসজিদ সেনাবাহিনীর কোন প্রকল্প নয় বরং রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের প্রকল্প। কিন্তু দেখুন এসকল নরাধম কি বলে???
সাজেকে প্রতিদিন শত শত/ হাজার হাজার পর্যটক গমন করে এবং এর ফলে সেখানকার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান দিন দিন উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। আমাদের জেনে রাখা দরকার যে মোট পর্যটকের কমপক্ষে শতকরা ৮০ ভাগ মুসলমান এবং মুসলমানদের জন্য শুক্রবার একটি পবিত্র দিন। এদিনে ধর্মপরায়ণ মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করে থাকেন। সাজেকে একটি মসজিদ থাকলে নিঃসন্দেহে এই বিপুলসংখ্যক মুসল্লীরা খুশিমনে সাজেক ভ্রমণে উৎসাহী হবে। যদি কোন মসজিদ না থাকে তাহলে মুসলমান পর্যটকরা সাজেকে গমনে নিরুৎসাহিত হবে এবং এর ফলে এলাকার সাধারন জনগন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ চায় না তারাই এ ধরনের অযৌক্তিক এবং বানোয়াট কথা বলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। দুর্বৃত্তদের মনে রাখা দরকার, নিরাপত্তা বাহিনী তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা উপজাতীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করে। সুতরাং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে যতই কুৎসা রটনা করার চেষ্টা করা হোক না কেন সাধারণ জনগণ তা কখনোই বিশ্বাস করবে না এবং বিভ্রান্ত হবে না।
মুক্তমত