||হান্নান সরকার||
একজন মেয়েকে এভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা এইটা সভ্য সমাজের মানুষের কাজ হতে পারেনা! ভিডিও তে স্পষ্ট ভাবে দেখা গিয়েছে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র এবং শোনা গিয়েছে মেয়েটি বাঁচার আকুতি মিনতির আর্তচিৎকার। বাঙালি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে এ শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে। মারমা ভাষা যতটুকু বুঝি তাতে এটা স্পর্শ যে বাঙালির সঙ্গে সম্পর্কের কারণে উপজাতি কতিপয় মারমা যুবকেরা স্বজাতি মেয়েকে নির্যাতন করছে। বেশিরভাগ এইধরনের ভয়াবহ নির্যাতন গুলো চাকমারা করে থাকে মেয়েদের উপর। চাকমাদের থেকে দেখে মারমা সমাজেও এ জানোয়ার সুলভ আচরন শুরু হয়েছে!
মারমা মেয়েটিকে মারধরকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করা হোক। দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসা উচিত। এদের নাম-ঠিকানা কেউ যদি জানেন তাহলে যেভাবে হোক তথ্য দিয়ে সহযোগী করুন। এই নরপশু জানোয়ারদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত হোক।
সভ্য যুগেও মেয়েদের ভোগ্য পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীও তাদের মতাদর্শীরা! আর নিজেদের মতের বিরুদ্ধে হলে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রবাদী ও তাদের মতাদর্শী জানোয়াররা। বাঙালির সাথে কথা বলার অপরাধে উপজাতি সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদীরা এইভাবে মেয়েদের নির্যাতন করে, এমনকি গণধর্ষণ করে হত্যা করেও থাকে! বিগত বছর গুলোর পরিসংখ্যান ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক নারী নির্যাতনের ভিডিও গুলোর তথ্য রপ্ত করলে দেখা যাবে সারাদেশের চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার পরিসংখ্যান অনেক বেশিই হবে। বাঙালির ছেলের সাথে কথা বলা, প্রেম করা, বিবাহ করার শাস্তি গণধর্ষণ ও হত্যা! জাত রক্ষার নামে উপজাতি মেয়েদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়। ভয়াবহ শাস্তি, গণধর্ষণ ও হত্যার মাধ্যমে জাতি রক্ষার জন্য খামখেয়ালি ভাবে নিজেরা আইন চালু করেছে! কোন আইনে তারা বাঙালির সঙ্গে সম্পর্কের কারণে এমন শাস্তি দেয়? তথাকথিত, সুশীল, বুদ্ধিজীবী, নারীবাদীরা এখন কোথায় ? এসব কি তারা চোখে দেখে না? পার্বত্য চট্টগ্রামে পান থেকে চুন খসলে সবকিছুতে সেনাবাহিনী বাঙালির দোষ দেওয়া হয়! অথচ তারা এখন নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ?
বেশিরভাগ সময় উপজাতীয় কতিপয় যুবকেরা মদ্যপান অবস্থায় থাকে। উপজাতি মেয়েদের ভোগ করার চেষ্টা করে সবসময়৷ ভোগ্য করতে যখন বর্থ্য হয় তখন বাঙালির সঙ্গে সম্পর্ক করার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এইভাবে নির্যাতন করা হয়। সর্বশেষ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করা হয়। বিগত সময় দেখা গেছে শুধু মাত্র বাঙালি সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলার কারণে উপজাতি মেয়েদের বর্বরোচিতভাবে মারধর করার ভয়াবহ লোমহর্ষক নির্যাতনের চিত্র গুলো। যেটা দেখে একজন বিবেকবান মানুষ নিজের বিবেক বোধের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি মেয়েদের স্বজাতি সন্ত্রাসী ও কতিপয় উশৃংখল মদ, গাঁজাখোর যুবকেরা এইভাবে নির্যাতন করে। নিজেদের পরুষত্ব নেই, মদ গাঁজা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা লিপ্ত থেকে জীবন করছে তারা তেজপাতা। পুরুষত্বহীন কিছু করার মত সৎ সাহস নেই, ‘ তাই মেয়েদের কাছে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর জন্য গণধর্ষণকে বেছে নেয় তারা।’ সব উপজাতি ছেলে খারাপ না। যারা খারাপ তাদের অত্যাচারে উপজাতি মেয়েদের মধ্যে ঘৃণা তৈরি হয়েছে। সেজন্য উপজাতি মেয়েদের পছন্দের তালিকায় বাঙালি যুবকেরা। উপজাতি ছেলেদের ব্যর্থতায় উপজাতি মেয়েরা বাঙালির সঙ্গে সম্পর্ক করতে আগ্রহী। নিজেরা যদি আর্দশবান সুপুরুষ হত তাহলে এত উপজাতি মেয়ে বাঙালি ছেলের জন্য নিজেকে এইভাবে উৎসর্গ করত না। বেশিরভাগ উপজাতি ছেলেরা জানোয়ার। এদের মধ্যে বিন্দুমাত্র দয়ামায়া নেই। একজন মেয়ের এমন অসহ্য আর্তনাদ নরপশুদের বিবেকে একটুও মায়া হয়নি! প্রতিনিয়ত খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান উপজাতি মেয়েদের বাঙালির সঙ্গে সম্পর্কের অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করা হয়। যেসব ফেসবুকে আসে তা আমরা দেখি। আড়ালে অহরহ ঘটনা গড়ে যায়। অনেক উপজাতি মেয়ে লাশ হতে হয়েছে। এসব ঘটনার কোন বিচার হয়না। এমনকি উশৃংখল মদ, গাঁজাখোর উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যথাযর্থ পদক্ষেপও নিচ্ছে না। যার কারণে এমন ঘটনা পাহাড়ে হরহামেশাই হচ্ছে৷ মেয়েদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে নির্যাতন করে ফেসবুকে সন্ত্রাসীরা ভিডিও ছেড়ে দেয়। বাঙালিদের সঙ্গে চলাফেরা, মেলামেশা ও সম্পর্ক ঠেকাতে উপজাতি মেয়েদের মধ্যুযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, গণধর্ষণ, হত্যা করার জন্য বিশাল একটি কোরামও সৃষ্টি করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। সমতলে আমরা দেখি অনেক বাঙালি মেয়ে উপজাতি ছেলেদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি ও সম্পর্ক সহ কথাবার্তা বলে তার জন্য বাঙালিরা তো বাঙালি মেয়েকে এইভাবে নির্যাতন করেনা! দুঃখজনক যে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে উপজাতি বাঙালি বিরোধ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী সহ একটি গোষ্ঠী সবসময় সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে এবং মেয়েদের উপর ভয়াবহ নির্যাতন করে। মানবাধিকার সংগঠন গুলো সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসা উচিত।
কোন মেয়ে যদি ধর্ম জাতি ছেড়ে চলে যেতে চাই তাকে ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট ভালো ভাবে বুঝাতে হবে এবং তাকে সঠিক পরিচর্চা করতে হবে। এমন আচরণ তার সাথে করা যাবে না যেটার ফলাফল বিপরীত হয়। মেয়েদের ভালো আচরণ করে বুঝাতে হয়, যদি এতেও না বুঝে তখন কঠোর ভাবে বুঝাতে হবে। এরপর যদি বর্থ্য হয় তাহলে তাকে তার পথে যেতে দেওয়া উচিত। কারণ সে তার ভাগ্য বরণ করে নিতে প্রস্তুত, তাকে ধরে রেখে লাভ নেই।