প্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন উপজাতি কিশোরী ধর্ষণ প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু কথা না বললে নয়।

0

এম. কে আনোয়ার, খাগড়াছড়ি



সহজসরল উপজাতি সুপুরুষ কি ধর্ষণ করতে পারে?

গত ৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) খাগড়াছড়ি সদর থানার পুলিশ ধর্ষণ মামলার আসামী বাবু চাকমা (৩৫) কে দুপুর ২ ঘটিকায় গ্রেফতার করে!

খাগড়াছড়ি জেলার সিঙ্গিনালায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন হতে ধর্ষণ করে আসছে বাবু চাকমা! গ্রেফতারকৃত বাবু চাকমা খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকার খুনজি লাল চাকমার ছেলে।

কিশোরীর পরিবার ছেলের পরিবার সহ সামাজিক নেতৃত্ব শ্রেণী নিয়ে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বৈঠকে বসে। দুঃখজনক যে, উপজাতি সমাজের কতিপয় ব্যক্তিরা ১১ শত টাকা শুধুমাত্র জরিমানা করে ঘটনাটি মিটমাটের অপচেষ্টা করে! কতিপয় সমাজ ধর্ষণের জন্য প্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন কিশোরীকে শুধু দায়ী করে। ধর্ষক উপজাতি হওয়ার কারণে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রবল চেষ্টা করে উপজাতি সমাজের কতিপয় ব্যক্তিরা সহ উপজাতীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো। সর্বশেষ কিশোরীর পরিবার ন্যায় বিচারের আশায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করে।


পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের পেছনে এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারী ও কতিপয় বুদ্ধিজীবি সহ রাম-বামরা সবসময় বাঙ্গালীকে দায়ী করে। উপজাতি কর্তৃক নারী ধর্ষণ হলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা নিশ্চুপ থাকে।
অথচ পাহাড়ে পান থেকে চুন খসলে সবকিছুতে সেনাবাহিনী বাঙালিকে দোষারোপ করা হয়। পাহাড়ে ধর্ষণের জন্য শুধু বাঙ্গালীকে দায়ী করা হয়। বাঙ্গালী কর্তৃক কোন ধর্ষন সংঘটিত হলে সেজন্যেই উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো আন্দোলন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটানো এবং এদেশের কতিপয় বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে ধর্ষক হিসেবে আখ্যায়িত করে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, খাগড়াছড়ি সিঙ্গিনালায় উপজাতি প্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কোন মহল বিক্ষোভ, মানববন্ধন, টকশো ও বিচার দাবি করে বাঙ্গালীকে ট্যাগ দিয়ে কোনধরনের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেননি! যদি এই ঘটনা বাঙ্গালী কর্তৃক সংগঠিত হত তাহলে পার্বত্য বাঙ্গালীদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করা হত।

গত বছরের অক্টোবর ২০২০ খ্রিঃ প্রথম আলো পত্রিকায় কলামিস্টরা উল্লেখ করে ৩২ টি উপজাতি জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় ধর্ষণ নাম কোন প্রতিশব্দ নেই! তার মানে ধর্ষণ সহজসরল উপজাতি পুরুষেরা জানেই না। এখন যে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকার বাবু চাকমা ধর্ষণ প্রতিশব্দ ভেঙে দিয়ে ধর্ষণ করলো তার জন্য কি প্রথম আলো পত্রিকার সে কতিপয় কলামিস্টরা তুলে ধরবেন? নাকি ধর্ষক উপজাতি হলে তাদের লেখার মত বাকশক্তি থাকে না?

স্পষ্ট ভাবে একটি কথা বলে রাখি পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণ শুধু বাঙ্গালীরা করে না। সহজসরল উপজাতি সুপুরুষেরা বাঙ্গালীদের থেকেও বেশি ধর্ষণ করে। উপজাতি সমাজে ধর্ষণের শাস্তি শুকর দান! যে সমাজে শুকর দিয়ে ধর্ষণ দামাচাপা দেওয়া হয় সে সমাজের লোক কিভাবে বাঙ্গালীকে ধর্ষক বলে? মাসের পর মাস দিনের পরদিন উপজাতি নারীদের উপজাতি মদ, গাঁজাখোর ও মাতাল অসভ্য জানোয়ার পুরুষেরাই ধর্ষণ করে। অস্ত্রের ভয়ে কেউ ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে না। কারণ উপজাতি সমাজে যদি কোন নারী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তাহলে সে নারীকে পুনরায় গণধর্ষণ করা হয়।

আর তাদের পক্ষে যারা সাফাই গাই তারা পাহাড়ের চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা পায় তারজন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে বাঙ্গালীকে ধর্ষক হিসেবে আখ্যায়িত করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More